শুক্রবার খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
করোনার কড়াকড়ি তেমন ছিল না। তবুও মিশ্র সংস্কৃতির রেলশহরে হোলির উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল না। তবে পরিজনের সঙ্গে কৃত্রিম বৃষ্টি উপভোগ করেছেন অনেকে। আর দোলের দিন শহর ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবা দোলের পরে শনিবার হোলিতেও খড়্গপুর শহরে ফিকে ছিল উৎসবের রং। রকমারি রং মেখে তাসা, বাজনা নিয়ে শোভাযাত্রার ছবি করোনার আগেও দেখা গিয়েছে। তবে এ বার সে সব ছিল না। অনেকেই পারিবারিক ভাবে দোল কাটিয়েছেন।
শনি-রবি জুড়ে যাওয়ায় অনেকে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন দিঘা, মন্দারমণি। অনেকে আবার করোনার পরে বাড়তি সচেতন। ইন্দার তরুণী লেখিকা দোয়েল ভট্টাচার্য বলেন, “ছোটবেলায় আমরা যেভাবে এই শহরে রং খেলতে দেখেছি, তা করোনার পরে একেবারে উধাও। হোলির পুরনো মেজাজ হারিয়ে যাওয়ায় খারাপ লাগছে।” তবে আইআইটিতে বছর দু’য়েক পরে আবাসিকরা নিজেদের মধ্যে বসন্ত উৎসব পালন করেছেন। সেখানে ছিল শুধুমাত্র ভেষজ আবির। কিছু সংস্থা আবার প্রেমিক-যুগলের জন্য ‘রেন ডান্সে’র আয়োজন করেছিল। গোপালিতে এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজক সেনটন রোজ়ারিও বলেন, “এখন মানুষ ছুটির মেজাজে হোলি কাটাতে চায়। একেবারে ভেষজ আবির খেলায় মাততে চায়। সেই সব রেখেই খোলামেলা পরিবেশে শুধুমাত্র যুগলদের জন্য রেন ডান্স, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। ভাল সাড়া পেয়েছি।”
তবে অন্যবারের মতো এ বারও দোলের দিনে শহরে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। শুক্রবার শ্যামমন্দিরে আবির মেখে ভক্তদের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় তাঁকে। রেলবাংলোয় নিজের সাংসদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মীদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবেও মাতেন তিনি। তার মাঝেই সাংবাদিকদের সামনে ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “সত্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ে ভয় করেন। আজকে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তার কিছু সত্য সামনে এসেছে। তাতে এদের ভিত নড়ে যাচ্ছে। যদি এত ভয় রাজনীতি করতে এসেছেন কেন?” নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy