শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটল প্রস্তাবিত খড়্গপুর স্টেডিয়ামের। শহরের কাছেই এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শিল্পোন্নয়ন নিগম।
জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণে যোগ দিতে গত সোমবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ছিল অনুষ্ঠান। মেদিনীপুরে থাকাকালীনই প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসন শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই আগের জায়গার বদলে শহরের কাছে নতুন জায়গা দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেয় শিল্পোন্নয়ন নিগম। দীর্ঘ টালবাহানার পরে স্টেডিয়াম-জট কাটায় খুশি তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। শহরবাসীও ভীষণ খুশি।”
গত বছরের গোড়ায় মেদিনীপুরে এসে খড়্গপুরে স্টেডিয়াম তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, খড়্গপুরে নতুন স্টেডিয়াম গড়তে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ১২ একর জমিতে গড়ে উঠবে এই স্টেডিয়াম। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকের এক ধারে ১২ একর জমিতেই স্টেডিয়াম গড়ে ওঠার কথা ছিল। প্রাথমিক ভাবে জমি চিহ্নিত করে প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। যে জমিটি প্রাথমিক ভাবে বাছা হয়েছিল, তা খড়্গপুর শহর থেকে অনেকটা দূরে। ফলে, এখানে স্টেডিয়াম গড়তে বেঁকে বসে পুরসভা। পুরসভা চাইছিল, স্টেডিয়াম হোক উত্তর-পশ্চিম দিকে। সেখানেও ১২ একর জমি রয়েছে। এই এলাকা শহরের একেবারে কাছে। পুরসভার পছন্দের এই জমি দিতেই এ বার রাজি হয়েছে শিল্পোন্নয়ন নিগম। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় দ্রুতই জট কাটল। এ বার স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হবে।” খড়্গপুরের পুরপ্রধানেরও বক্তব্য, “শহরে স্টেডিয়াম অত্যন্ত জরুরি ছিল। এ বার দ্রুত কাজ শুরু হবে।”