মাথায় মুগুর মেরে দু’বছরের এক শিশুকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। কাঁথি আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুকুমার রায় বৃহস্পতিবার গণেশ দাসকে এই সাজা শোনান। বিচারকের কথায়, ‘‘ফুলের মত নিষ্পাপ এক শিশুকে প্রতিহিংসায় খুনের ঘটনায় দোষীর যাবজ্জীবন সাজায় ওই শিশুর বাবা-মার যন্ত্রণা হয়তো কমবে না। কিন্তু দোষীর সাজা হয়েছে সেটুকু শুনে কিছুটা সান্তনা পাবেন।’’
মামলার সরকারি আইনজীবী কুহকরঞ্জন মণ্ডল জানান, ২০১৪ সালের ৮ জুন সকালে পূর্বকরঞ্জি গ্রামের গনেশ দাসের বাড়ির উঠোনে পড়শি সুবোধ দাসের দু’বছরের ছেলে সোমনাথ দিদির সঙ্গে খেলছিল। সেই সময় গণেশ আচমকাই মুগুর দিয়ে মারে সোমনাথের মাথায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশুটি।
সোমনাথের দিদির চিৎকারে ছুটে আসেন সকলে। শিশুটিকে প্রথমে বালিসাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে সোমনাথের মৃত্যু হয়।
ঘটনার তদন্তে জানা যায়, সোমনাথকে খুনের কিছু দিন আগেই গণেশ দাস প্রতিবেশী বরেন্দ্রনাথ ও তার ছেলেকে কোদালের আঘাতে জখম করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই ঘটনায় সোমনাথের বাবা সুবোধ দাস গণেশের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। টানা তিন মাস জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসে গণেশ এর প্রতিশোধ নিতেই সুবোধ দাসের ছেলে সোমনাথের খুনের পরিকল্পনা করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy