Advertisement
১৯ মে ২০২৪

তৃণমূলের হাঁড়ি হাটে ভাঙার বার্তা ভারতীর

ভারতীর দাবি, “কে বলেছে ব্যবস্থা নিইনি। আমি সমস্ত অবৈধ বালি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অবৈধ গরু পাচার বন্ধ করে দিয়েছিলাম।” 

বসন্তপুরে প্রচারে। নিজস্ব চিত্র

বসন্তপুরে প্রচারে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৯
Share: Save:

তৃণমূলের হাঁড়ি হাটে ভাঙার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। শনিবার পিংলায় প্রচারে গিয়ে প্রাক্তন আইপিএসের বার্তা, “আমি এখানে পুলিশ সুপার ছিলাম। কেউ যদি মনে করেন তাঁর হাটে আমি হাঁড়ি ভাঙব না সেটা ভুল ধারনা। কে কোথায় দুর্নীতি করে আমি জানি। এত দুর্নীতিগ্রস্ত যে তালিকা শেষ হবে না। সময় হলেই হাটে হাঁড়ি ভাঙব।”

কিন্তু আপনি পুলিশ সুপার থাকাকালীন ব্যবস্থা নেননি কেন? জবাবে ভারতীর দাবি, “কে বলেছে ব্যবস্থা নিইনি। আমি সমস্ত অবৈধ বালি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অবৈধ গরু পাচার বন্ধ করে দিয়েছিলাম।”

এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ভারতী প্রচার শুরু করেন খড়্গপুর-২ ব্লকের বসন্তপুর থেকে। এর পর কালিয়াড়া-১, কালিয়াড়া-২, মেউদিপুর, পপরআড়া-১ ও পপরআড়া-২ ব্লকে প্রচার সারেন তিনি। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে পিংলা বিধানসভার অন্তর্গত খড়্গপুর-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের আসন দখল করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এই ব্লকেরই বাসিন্দা। এর আগে ভারতীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেছিলেন অজিত। এ দিন পাল্টা ফিরিয়ে ভারতী বলেন, “অজিত মাইতির মতো দুর্নীতিগ্রস্ত লোক খুব কম রয়েছে। এটা ওঁর এলাকার লোকে বলেন।”

জেলা তৃণমূলের সভাপতির পাল্টা বক্তব্য, “ভারতী ঘোষের গোটা শরীরটা দুর্নীতিতে ভরা। সেই দুর্গন্ধ ঢাকতে হতাশা থেকে এ সব বলছেন। উনি ওঁর কৃতকর্মের ফল এই লোকসভা নির্বাচনে পেয়ে যাবেন।”

এই পিংলাতেই সপ্তাহ খানেক আগে ঘাটালের তারকা প্রার্থী দেবের প্রচার সভায় ফৌজিদের মতো জংলা পোশাকে তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর ঘুরে বেড়ানোকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে। কমিশনের পোর্টালে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি সামনে এসেছে। সেনা জওয়ানদের মতো টুপি ও প্যান্ট পড়ে তৃণমূল কর্মীদের ঘুরে বেড়ানো প্রসঙ্গ এ দিন টেনেছেন ভারতীও। তাঁর দাবি, “চারশো লোক পিংলার জামনা, যশরাজপুরে বিভিন্ন জায়গায় আধাসেনার পোশাক তৈরি করছে বিভিন্ন দোকানে। আমি জানি কে টাকা দিয়েছে। এর মাথায় কে রয়েছে সেটাও জানি।’’ তৃণমূলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আমি সতর্ক করছি, আধাসেনার সঙ্গে মিশে গিয়ে বাড়ি-বাড়ি ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না।”

এ প্রসঙ্গে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE