Advertisement
E-Paper

এসপি-কে ভৃত্য বলে কটাক্ষ পদ্মপ্রার্থীর

মঙ্গলবার শিল্প শহর হলদিয়ায় প্রথমবার নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, এ দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে পুলিশকে আগাম জানানো হলেও তার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলি‌শ গড়িমসি করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০১
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নাম না করে শাসকদল তৃণমূলের নেতার পা কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন কয়েকদিন আগেই। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে ‘ভৃত্য’ বলে কটাক্ষ করলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর।

মঙ্গলবার শিল্প শহর হলদিয়ায় প্রথমবার নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, এ দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে পুলিশকে আগাম জানানো হলেও তার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলি‌শ গড়িমসি করে। তাই প্রচার শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘‘এই পুলিশ সুপার নির্বাচন বলতে কিছুই বোঝেন না। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকেই দেখছি। লোকসভাতেও ইনি পুলিশ সুপার থাকলে নির্বাচন যে অবাধ হবে না, তা স্পষ্ট।’’ এর পরেই বিজেপি প্রার্থীর সংযোজন, ‘‘এসপিই তো নাটের গুরু। উনি তো নিজে বিক্রি।... একটা বাড়ির ভৃত্য যেভাবে থাকে।... ওঁর ব্যক্তিগত কোনও ক্ষমতা নেই।’’

বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন হলদিয়া ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ অফিস থেকে বি সি রায় হাসপাতাল, ভবানীপুর থানা, সিটি সেন্টার এবং ক্ষুদিরাম নগর হয়ে তাদের একটি র‌্যালি করার কথা ছিল। ওই কর্মসূচিতে ৪০টি টোটো এবং ৬টি ভ্যান নিয়ে রোড শো করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত ওই কর্মসূচির অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। শেষে গভীর রাতে নির্বাচনী প্রচার অনুমতি দেওয়া হলেও গাড়ি ব্যবহারে সম্মতি দেওয়া হয়নি বলেই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।

তবে একজন আইপিএস আধিকারিককে এভাবে সরাসরি ‘ভৃত্য’ বলায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিজেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসকদল। এ ব্যাপারে তৃণমূলের হলদিয়া শহর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মধুরিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসনের আধিকারিকদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া রাজনীতিবীদদের উচিত। কিন্তু এ রাজ্যে বিজেপির নেতা প্রার্থীরা ভোটের বাজার গরম করে রাখতে এমন মন্তব্য করছেন।’’

বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য প্রসঙ্গে মতামত জানতে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশসুপার ভি সলোমোন নেসাকুমারকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি। ফোন করা হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীকেও। তিনিও ফোন ধরেননি।

তবে নির্বাচনী প্রচারের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের দীর্ঘসূত্রিতা যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘নিয়ম মাফিক মিটিং-মিছিল বা প্রচারের অনুমতি দেয় নির্বাচন কমিশন। তাই এটা নিয়ে বাকিদের করার কিছুই থাকে না।’’

Lok Sabha Election 2019 TMC BJP Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy