Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যেন মাছিও না গলে

খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে বুধবার প্রস্তুতি ছিল চরমে। এখানে ১৪টি হলে গণনা হবে। প্রতিটি হলে ৭টি করে টেবিল থাকছে। প্রতিটি বিধানসভায় ২০-২১টি করে রাউন্ডে গণনা হওয়ার কথা।

 খড়্গপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বাইরে কড়া পাহারা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

খড়্গপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বাইরে কড়া পাহারা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০০:২১
Share: Save:

সাত দফা ভোট শেষ। আজ গণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। মেদিনীপুরের গণনা হবে খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। ঘাটালের গণনাকেন্দ্র রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় ও ঝাড়গ্রামের গণনাকেন্দ্র ঝাড়গ্রাম শহরের রাজ কলেজ (মহিলা শাখা)। গণনাকেন্দ্র চত্বরে আজ সকাল ৬টা থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। থাকছে কড়া নিরাপত্তার বলয়। গণনার সময়ে যাতে জেলায় কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেই দিকেও নজর রেখেছে প্রশাসন। বুধবার থেকেই উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে টহলদারি শুরু করেছে প্রশাসন। থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজর রাখা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিক জানিয়েছেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে বুধবার প্রস্তুতি ছিল চরমে। এখানে ১৪টি হলে গণনা হবে। প্রতিটি হলে ৭টি করে টেবিল থাকছে। প্রতিটি বিধানসভায় ২০-২১টি করে রাউন্ডে গণনা হওয়ার কথা। এগরা ও মেদিনীপুর বিধানসভায় বুথ বেশি হওয়ায় সর্বাধিক ২২টি রাউন্ডে গণনা হবে। প্রতিটি টেবিলে ২ জন করে গণনা কর্মী ও ১ জন করে মাইক্রো অবজার্ভার থাকবেন। সব মিলিয়ে ৯৮টি টেবিলের জন্য ২০০ জন গণনাকর্মী ও ১০০জন মাইক্রো অবজার্ভার নিযুক্ত হচ্ছেন। এছাড়া থাকতে পারবেন সব প্রার্থীর এজেন্ট। প্রশাসন জানিয়েছে, গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বাইরের এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে বিজেপি-তৃণমূল দুই যুযুধান শিবিরকে স্কুলের দুই প্রান্তে ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশ। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সুষ্ঠুভাবে গণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”

ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। তিনটি ওয়াচ টাওয়ারে পাহারা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। গণনার সময়ে কলেজের ২০০ মিটারের কাছাকাছি সব দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছে ৬০০ রাজ্য পুলিশ ও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলেজ থেকে ১০০ মিটার দুরত্বে থাকছে গার্ডরেল ও ড্রপ গেট। কলেজ ঘেরা থাকছে ব্যারিকেড দিয়ে। কলেজের মূল গেটে থাকছে মেটাল ডিরেক্টর। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “যে কোনও পরিস্থিতি সামলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা তৈরি।”

ঝাড়গ্রামে গণনাকেন্দ্রে থাকছে ৭টি হল। প্রতি হলে ১৪টি করে টেবিল থাকছে। নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম ও গড়বেতা বিধানসভার গণনা হবে ১৯টি রাউন্ডে। গোপীবল্লভপুর ও বিনপুর বিধানসভার গণনা হবে ২১টি রাউন্ডে। শালবনি বিধানসভার ২৩ ও বান্দোয়ান বিধানসভায় ২৫টি রাউন্ড গণনা হবে। কলেজের বাইরে চারপাশে বালির বস্তা ফেলে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ছ’টি সেন্ট্রি পোস্ট করে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক আয়েষা রানি জানান, প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। কোনও ইভিএম খারাপ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ভিভিপ্যাট গোনা হবে। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। বাইরের দু’টি স্তরে থাকছে প্রায় ৪০০ রাজ্য পুলিশ। শেষ স্তরে ভিতরে থাকছে ২ কোম্পানি সিআরপিএফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Strong Room CRPF
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE