পরীক্ষার্থীকে পেন পুলিশের। হলদিয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
কোথাও পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে গোলাপ ফুল, কলম দিয়ে অভ্যর্থনা আবার কোথাও বাসস্ট্যান্ডে নামার পরেই পরীক্ষার্থীদের টোটো গাড়িতে বিনা ভাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা।
তমলুক হাইস্কুল মাধ্যমিক পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে এমনই তৎপরতা দেখা গেল শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের সব পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়। জেলার ১০২ টি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৬৩ হাজার ৬৩৪ জন। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের ভিড় জমাতে শুরু করেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আহ্বায়ক জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘প্রথমদিনে জেলার সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে। কোনও অভিযোগ আসেনি।’’
জেলা সদর তমলুক শহরে তমলুক হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা কয়েক’শো ছাত্র–ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তৃণমূল যুবকর্মীরা গোলাপ ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। সঙ্গে কলম ও জলের বোতল দেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন শহরের তৃণমূল কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া, শক্তিপদ ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ দত্ত, চন্দন দে প্রমুখ। শুধু গোলাপ নয়, তমলুকের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে বিনা ভাড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিল ৫০ টি টোটো গাড়ি। ব্যানারে ছিল দলীয় নেতা-নেত্রীদের ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো একটি অরাজনৈতিক বিষয়ে এমন তাঁদের দলীয় হস্তক্ষেপ কেন? তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা সাহায্য করতেই এই উদ্যোগ। আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে সাহায্য করেছি। ফলে পরীক্ষায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রশ্ন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy