আরামদায়ক: খড়্গপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও সভাস্থলে বসানো হচ্ছে এসি এবং পাখা। রবিবার তারই প্রস্তুতি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
দু’টি হেলিপ্যাড, বাইশশো পুলিশ, মেটাল ডিটেক্টর দরজা, বাতানুকূল মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে সাজ সাজ রব রেলশহরে।
আজ, সোমবার খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক ও প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা দু’টোয় খড়্গপুরের পূর্ত দফতরের কমপ্লেক্সে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে হবে বৈঠক। বিকেল চারটেয় খড়্গপুর কলেজের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা। সেই মঞ্চ থেকে ১৪৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ১৫৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। খড়্গপুরের সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন ঝাড়গ্রামে। কাল, মঙ্গলবার তাঁর হাতেই সূচনা হবে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে রবিবার জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে খড়্গপুরে। পূর্ত দফতরের কমপ্লেক্সে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠকের সভামঞ্চ। ওই সভাস্থলে প্রায় দু’শো প্রশাসনিক আধিকারিক বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বসানো হয়েছে। খড়্গপুর কলেজের মাঠে প্রশাসনিক জনসভার মঞ্চ বাঁধার কাজও এ দিন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চড়া রোদে যাতে দর্শকদের অসুবিধা না হয়, সে জন্য সভাস্থল ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ছাউনির নীচে কয়েক হাজার মানুষ বসতে পারবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ খড়্গপুরের চৌরঙ্গির কাছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ময়দানে নামবে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। সেখানে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। মাতকাতপুরের কাছেও একটি বিকল্প হেলিপ্যাড গড়ে তোলা হয়েছে। কপ্টার থেকে নেমে সড়কপথে পূর্ত দফতরের কমপ্লেক্সে যাবেন মমতা। দলনেত্রীকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড় চলছে তৃণমূলের অন্দরেও। দলের খড়্গপুর শহর সভাপতি তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শহরে আসছেন, এটা শহরবাসীর গর্বের বিষয়। আমরা সবাই সভায় যাব। তবে আমাদের হাতে দলীয় পতাকা থাকবে না। নেত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরাও নানাভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিশ্ববাংলার একটি মডেল তৈরি করছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার আয়োজনও সারা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর শহরে এ দিন প্রায় ২২০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। ২০জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার, ৩৫জন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার, ৫৫জন ইন্সপেক্টর সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করবেন। জেলার এক পুলিশ কর্তা জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য সাব ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৩০০জনকে নামানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি সড়কপথে ঝাড়গ্রাম যেতে চান, সেজন্য জাতীয় সড়কেও পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে।
এ দিন বিকেলের পর থেকে ৪টি পুলিশ কুকুর, বম্ব ডিটেক্টর, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দু’টি সভামঞ্চের আশপাশ ও ইন্দা ওটি রোড পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার শহরে যানজট এড়াতে চৌরঙ্গী থেকে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চৌরঙ্গি দিয়ে খড়্গপুর শহরে কোনও গাড়িও ঢুকতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে রূপনারায়ণপুর থেকে ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অথবা সাহাচক দিয়ে শহরে যান চলাচল করবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy