স্বাগত: কাল, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মেদিনীপুরে পুলিশ লাইনে। ক্যাম্পাস সেজেছে আলপনায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
পঞ্চায়েতে দাগ কেটেছে বিজেপি। ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিতেই বোর্ড গড়েছে তারা। পাশাপাশি কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বোর্ড গঠন অবশ্য হয়নি।
এমন আবহেই আজ, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে প্রশাসনিক জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর চার দিন ব্যাপী দুই মেদিনীপুর সফর শুরুই হচ্ছে কেশিয়াড়ি দিয়ে।
কেশিয়াড়ির সভা থেকে প্রায় ৬৩৯ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে সুবিধা প্রদান।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা ঘিরে রবিবার তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। খাজরা থেকে কেশিয়াড়ি যাওয়ার পথে কলেজ ময়দানে সভা হবে। এ দিন যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা। সভামঞ্চের পিছনে গড়া হেলিপ্যাডে পরীক্ষামূলকভাবে কপ্টারও নামানো হয়।
সোম-মঙ্গল দু’দিন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বুধ-বৃহস্পতি পূর্ব মেদিনীপুর সফর করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার কেশিয়াড়িতে সভা, মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে পূর্ব মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার প্রশাসনিক সভা রয়েছে বাজকুলে। আর বৃহস্পতিবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক। তবে সব ছাপিয়ে নজরে থাকছে কেশিয়াড়ি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কেশিয়াড়ির মঞ্চ থেকে বিজেপি-কে কড়া বার্তা দেবেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে রবিবার কেশিয়াড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে মিছিল করার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে ও কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দাবিতে বিভিন্ন বুথে বিজেপি-র মিছিল হয়েছে এ দিন।
এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপিকে আপাতত বুথেই মিছিল করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় ২লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। তার পরে দিলীপ ঘোষদের আমরা তাড়াব এটা চ্যালেঞ্জ।” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের পাল্টা বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা ব্যর্থ হবে। ভাড়া করে মানুষ আনতে হবে। তাই এখন থেকে নানা অভিযোগ তুলে বড়-বড় কথা বলছে ওঁরা।”
কেশিয়াড়ির মাঠ ভরাতে তৃণমূলও তৎপর। প্রায় দু’লক্ষ জমায়েতের দাবি করছেন দলীয় নেতৃত্ব। তিনটি ছাউনিতে সকলকে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে প্রশাসনিক সভার সুবিধা প্রাপকদের সভাস্থলে চলে আসতে বলা হয়েছে। বেলা দেড়টায় হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রীর কেশিয়াড়ি পৌঁছনোর কথা। সভা শেষে কপ্টারেই মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে সড়কপথে বিকল্প আয়োজনও থাকছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, থাকছেন ১২জন আইপিএস পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক, ১৬ জন ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ও প্রায় ২৫জন ইন্সপেক্টর। গড়া হয়েছে ছ’টি গেট।
এছাড়াও দু’টি গেটের একটি থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এবং অন্যটি সুবিধাপ্রাপক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হবে। সভামঞ্চের বাঁ-দিকে সরকারি প্রকল্পের স্টল গড়া হয়েছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy