এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকায়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে মধ্যবয়স্ক এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাসকদলের অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। যদিও পদ্মশিবির সেই দাবি উড়িয়ে পাল্টা জানিয়েছে, অভিযুক্ত একসময়ে তৃণমূলে ছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৮ জানুয়ারি ‘নির্যাতিতা’ বাড়িতে একা ছিলেন। তিনি শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। ওই সুযোগ নিয়ে ৫৭ বছর বয়সি এক প্রতিবেশী তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। মহিলার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ‘নির্যাতিতা’র বয়স ৩৩ বছর।
অভিযোগ, ধর্ষণের পর ওই মহিলাকে ভয় এবং হুমকি দেন অভিযুক্ত। তার পরেও ঘটনার কথা জানাজানি হয়। তখন সালিশি সভা বসিয়ে সমস্যা সমাধানের একটি চেষ্টা হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত মহিলার পরিবার সবং থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সোমবার অভিযোগ দায়েরের পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। ওই দিন রাতে খড়্গপুরের শ্যামচক এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ‘নির্যাতিতা’র শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।
আরও পড়ুন:
তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি শেখ আবু কালাম বক্স বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বিজেপির কর্মী। বিজেপির মিটিং-মিছিলে তাঁকে দেখা যায়। এলাকায় তিনি দাদাগিরির চেষ্টা করতেন। অপরাধের পরে প্রভাব খাটিয়ে ‘নির্যাতিতা’কে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন উনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।’’ অন্য দিকে, বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি অমূল্য মাইতি বলেন, ‘‘ও (অভিযুক্ত) কোনও দিন বিজেপি করেননি। উনি বিজেপির সদস্য নন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অভিযুক্ত আদতে তৃণমূলের কর্মী। আর দোষ করলে তো শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আশা করা যায়, আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।’’
মঙ্গলবার ধর্ষণে অভিযুক্ত মধ্যবয়স্ককে হাজির করানো হয়েছিল মেদিনীপুর আদালতে। আদালত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।