কর্মিসভায় বক্তব্য রাখছেন মানস ভুঁইয়া।
বামপন্থীদের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কর্মীদের মনে। জোট নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে তৃণমূল। তবে সময়ের দাবি মেনে জোটকে সমর্থন করতে হয়। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে পা রেখে কর্মীদের সামনে সেই ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
শনিবার সবং ব্লক কার্যালয়ে কর্মিসভার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। ছিলেন সবং বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডা, ব্লক সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম বক্স প্রমুখ। প্রচারের ধরন নিয়েই ছিল এ দিনের বৈঠক। তবে সেই সব ছাপিয়ে মানসবাবু ব্যস্ত ছিলেন বামপন্থীদের সঙ্গে জোটের কারণ ব্যাখ্যা করতে। এমনকী বৈঠকে রাজনৈতিক ইতিহাস টেনে মানস ভুঁইয়া বলেন, “১৯৬৯ ও ১৯৭১সালে ইন্দিরা গাঁধীকে সমর্থন করেছিল বামেরা। ১৯৯১ সালে নরসিংহ রাওকে বামেরা বাইরে থেকে সমর্থন জানিয়েছিল। সেই মন্ত্রীসভায় ছিলেন আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
কংগ্রেসের খাসতালুক বলে পরিচিত সবংয়ে এক সময় সিপিএমের সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব ছিল কংগ্রেস। এর আগে বামেদের সেই সব সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরেই প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। এ বার বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়ায় পাল্টা কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল। এ দিন কর্মিসভা চলাকালীন এক কংগ্রেস কর্মী উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “এই জোটে পুরনো অনেক কংগ্রেসের ও সিপিএমের লোক আমাদের ভোট দেবে না বলছে।” এরকম পরিস্থিতিরই মোকাবিলা কীভাবে করবেন কর্মীরা তারই এ দিন পাঠ দিলেন মানসবাবু। মানসবাবুর কথায়, ‘‘পরিবর্তনের পরিবর্তন করতে হবে। তাই এই ঐতিহাসিক মিলন মঞ্চ।” এর পরেই পুরনো কংগ্রেস কর্মীরা যাতে বসে না থাকেন তার আবেদন জানান তিনি। মানসবাবু বলেন, “রাজনীতিটা সমাজ ও মানুষের জন্য। যে কট্টর কংগ্রেস কর্মীরা দুঃখ নিয়ে বসে আছেন তাঁদের আমার কাছে ডেকে পাঠান। প্রয়োজনে আমিও তাঁদের কাছে যেতে রাজি রয়েছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বামপন্থীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হবে। একবার নয়, প্রয়োজনে পাঁচবার বসতে হবে।”
বাম-কংগ্রেস জোট প্রচারে দলের কর্মীরা
কর্মীদের এই সবং বিধানসভাকে সন্ত্রাসমুক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রচারে জোর দিতে বলেছেন প্রবীন এই কংগ্রেস নেতা। এ জন্য প্রতিটি অঞ্চলে বামেদের সঙ্গে যৌথ প্রচার, বাড়ি-বাড়ি প্রচার চালাতে বলেন তিনি। মানসবাবুর আবেদন, ‘‘এলাকার অনেকেই ১১ এপ্রিল শিবের মাথায় জল ঢালতে চন্দনেশ্বর যান। এ বছর এলাকার শান্তি কামনা করে সবাই নিজের এলাকার শিব মন্দিরে জল ঢালুন ও নিজের ভোট নিজে দিন। ১১ এপ্রিলের পরে চন্দনেশ্বরে যাবেন।”
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy