Advertisement
E-Paper

জামিনের আবেদন প্রত্যাহার মানসদের

তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আগাম জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন মানস ভুঁইয়ারা। মেদিনীপুর আদালতে এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য্য ছিল বুধবার। এ দিন মানসবাবুদের আইনজীবী হরিসাধন ভট্টাচার্য আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে, আর শুনানিও হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৬ ০১:৪৩

তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আগাম জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন মানস ভুঁইয়ারা। মেদিনীপুর আদালতে এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য্য ছিল বুধবার। এ দিন মানসবাবুদের আইনজীবী হরিসাধন ভট্টাচার্য আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে, আর শুনানিও হয়নি।

হরিসাধনবাবু বলেন, “তথ্যপ্রমাণ হিসেবে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। সে জন্য ইতিমধ্যে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করা হয়েছে। এখনও ওই কাগজপত্র এসে পৌঁছয়নি। সমস্ত দিক দেখেই আদালতে করা ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

ভোটের আগে সবংয়ে খুন হন তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা। জয়দেবের স্ত্রী মানসীদেবীর দাবি, মানসবাবুই লোকজন দিয়ে ডাকিয়ে খুন করিয়েছেন জয়দেবকে। মানসবাবুদের নামে অভিযোগও দায়ের হয়। যদিও বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ, গ্রামে ঢুকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য শাসানি এবং মহিলাদের নিয়ে টানাটানি করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১২ এপ্রিল খুনের মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন মানস ভুঁইয়া-সহ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। গত ২১ এপ্রিল মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতে তিনটি আবেদন করেন মানসবাবুদের আইনজীবীরা। আবেদনে বলা হয় ওই দিন মানসবাবুর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের লোকজন ছিলেন। মানসবাবুদের গতিবিধির ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। তদন্তকারী অফিসারকে (আইও) ওই ভিডিওগ্রাফি দেখার নির্দেশ
দেওয়া হোক।

মানসবাবুদের সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তাঁদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য আইও-কে নির্দেশ দেওয়া হোক। মানসবাবুদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখা হোক। ইতিমধ্যে এই আবেদনের শুনানি হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

অন্য দিকে, সবংয়ের এই মামলা নতুন মোড় নেয় গত সোমবার। নিহত তৃণমূলকর্মী জয়দেব জানার স্ত্রী মানসীদেবী ওই দিন রাতে সবং থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন। যে অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায় ফের জড়িয়েছে মানস ভুঁইয়াদের নাম। মানসীদেবীর অভিযোগ, গত ৮ মে রাতে ১২ জন যুবক অস্ত্র হাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে খুনের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়। যুবকেরা যাওয়ার সময় জানায়, মানস ভুঁইয়া এবং অমলেশ বসু তাদের পাঠিয়েছে। ১৪ জনের নামে মামলা হয়। অভিযুক্তদের তালিকার ১৩ নম্বরে মানসবাবু এবং ১৪ নম্বরে অমলেশবাবুর নাম রয়েছে। কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, এ সব সাজানো মামলা। পুলিশের উঁচু তলার একাংশ এবং তৃণমূল মিলে দলের নেতা-কর্মীদের অপদস্থ করার চেষ্টা করছে।

Manas Bhunia interim bail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy