ঘাটালের মিছিলে মহম্মদ সেলিম। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
এলাকার তৃণমূল সাংসদের বিজেপি যোগ না কি সময়ের অপেক্ষা! রবিবার ঘাটালে দলীয় কর্মসূচিতে এসে এমনই দাবি করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
এ দিন ক্ষীরপাই ও ঘাটালের দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন তিনি। এ দিন সকালে ক্ষীরপাই টাউন হলে প্রথমে কর্মিসভা করেন তিনি। তারপরে ডাক বাংলো থেকে হালদারদিঘি পর্যন্ত মিছিল হয়। বিকালে ঘাটালের মিছিল শেষে বরদা চৌকানে পথসভাতেও হাজির ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘প্রতি সপ্তাহে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন। ঘাটালের সাংসদেরও বিজেপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা।’’
দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেব উপস্থিত থাকতে পারেন বলে একটি টুইট করেছিলেন যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর উত্তরে পাল্টা টুইট করে দেব অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই সভায় তিনি থাকছেন না। এ দিন অবশ্য সেলিমের দাবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য চেষ্টা করেও দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। দলও কিছু জানে না। কেউ কেউ অতি উৎসাহে নিজের মতো করে ভুল তথ্য প্রচার করতে পারে। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
ক্ষীরপাইয়ের কর্মসূচিতে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই আক্রমণ করেন সেলিম। তাঁর দাবি, “দিল্লিতে বাতেলা সরকার আর রাজ্যে তোলাবাজের সরকার চলছে। রাজ্যে তো পুরোপুরি লুটপাট চলছে। গত দশ বছরে রাজ্যে নতুন কিছু প্রকল্পে হাত দেয়নি তৃণমূল। বামফ্রন্ট যা করেছিল, সেগুলিই রূপায়িত হয়েছে। আর কিছু না।” এ বার ভোটে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারিয়ে বাম জোট নিরঙ্কুশ আসন দখল করবে বলেও দাবি করেন ওই সিপিএম নেতা। কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রীর হলদিয়া সফরকেও। তাঁর দাবি, ‘‘সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারি টাকা খরচ করে ঝান্ডা লাগিয়ে জমায়েত করছে বিজেপি।’’ মহামিছিলে লোক জমায়েত করতে ক’দিন ধরেই প্রচার করেছিল সিপিএম। মিছিলে নানান বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাঁটেন বাম কর্মী-সমর্থকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy