২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্বে মেদিনীপুর থেকে ধুয়েমুছে সাফ গিয়েছিল বামেরা। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সেই জেলারই তমলুক ও পূর্ব পাঁশকুড়ার মত তিনটি আসন জয় বামেদের পালে ফের হাওয়া জুগিয়েছে। এ বার তাদের লক্ষ্য তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। আজ, লোকসভা উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সেপ্টেম্বর হলদিয়া সুতাহাটায় সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে সভা ডাকা হয়েছে। হাজির থাকার কথা রয়েছে তমলুক লোকসভা এলাকার মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভার দলের সব শাখা সম্পাদক, লোকাল ও জোনাল কমিটি সদস্যদের। সভায় জেলায় দলের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবেরও থাকার কথা রয়েছে।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই জেলায় বামফ্রন্টের রক্তক্ষরণ অব্যাহত ছিল। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৩ সালে বিরোধী দল হিসেবেও জেলায় বামেদের শক্তিক্ষয় হতে থাকে। তবে ২০১৬ সালে জেলার তিনটে আসন পেয়ে কিছুটা মাটি ফিরে পায় বামেরা। সামগ্রিক হিসেবে ২০১৪ সালের লোকসভার ভোটের তুলনায় এখন তমলুক লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় শাসক ও বিরোধীদের ভোটের ফারাক অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই উপ-নির্বাচনে ভাল নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মত পরিস্থিতি রয়েছে। ফলে তমলুক লোকসভা উপ-নির্বাচন নিয়ে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বামেদের লড়াই ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের প্রার্থী হিসেবে কারও নাম স্থির না হলেও ওই সভায় সাংগঠনিকভাবে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘শাসকদল তমলুক লোকসভা এলাকায় ভাল ফল করতে পারেনি। তাই বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উপ-নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তমলুক লোকসভা এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে একটি প্রাক-নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়েছে।’’
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন রেল ক্রসিংয়ের এই ঘটনায় মৃতের নাম মানিক শীট (৬০)। এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ রেল গেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও লাইন পেরোচ্ছিলেন মানিকবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy