ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনীষ জৈন, জেলাশাসকের খুরশিদ আলি কাদরীর সামনেই বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের ধমক দিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। বাতিল করলেন পুজোর ছুটিও। গুরুত্বপূর্ণ ও খুঁটিনাটি তথ্য ‘নোট’ করতে ভুলে যাওয়ার জন্যই এই তিরস্কার ও ‘শাস্তি’। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল টাউন হলের ঘটনা।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজের অগ্রগতি বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। বৈঠকে সেচ দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের ধমক দিয়ে মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া হঠাৎ করে বলেন, ‘‘পুজোয় ছুটি বাতিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আধিকারিকদের স্মৃতি বিভ্রংশ হচ্ছে সেই কারণে সমস্ত বিষয় নোট করতে ভুলে যাচ্ছে, আমি কোনও কথা শুনব না।’’ জানা গিয়েছে, প্রথমে এক ইঞ্জিনিয়রকে দাঁড় করিয়ে তিনি তিরস্কার শুরু করেছিলেন। বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ১৯৭৮ সালের উদাহরণও টেনে আনেন মন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে সেচ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তথা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন:
বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। বাকি যা আছে তা আমরা ধীরে ধীরে মানুষ মন জয় করে এবং জমির চরিত্র বজায় রেখে দাম নির্ধারণ করে এগোচ্ছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঘাটাল হবে ২৮ সালের পর সবচেয়ে বড় দর্শনীয় স্থান। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। সাংসদ দেব এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন দাবি করেছিলেন। ঘাটালের মানুষও প্রতি মিনিটে তা চাইছেন।’’