Advertisement
০৫ মে ২০২৪
গড়বেতা

ধর্ষণের নালিশ, ধৃত নাবালক

মাঝ বয়সী আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক নাবালককে। শনিবার ওই মহিলার ছেলে গড়বেতা থানায় গণধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩০
Share: Save:

মাঝ বয়সী আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক নাবালককে। শনিবার ওই মহিলার ছেলে গড়বেতা থানায় গণধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ ধর্ষণের মামলা দায়ের করে বছর চোদ্দোর এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।

নির্যতিতার পরিবারের অবশ্য দাবি, শুক্রবার কার্তিক পুজোর বিসর্জন উপলক্ষে উৎসব চলছিল কড়সা পঞ্চায়েতের গুজরীশোল গ্রামে। স্থানীয় একটি পরিবারের কার্তিক বিসর্জনের পর নাচগানের আসর বসেছিল। সেখানে প্রায় সকলেই মদ্যপান করেছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎই বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে এলাকা। অভিযোগ, সে সময়ই তিন যুবক তুলে নিয়ে যায় ওই মহিলাকে। পরে বেশি রাতে বাড়ির কাছেই একটি মাঠের মধ্যে ওই মহিলাকে অচৈতন্য ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার সকালে তাঁকে দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ, ধর্ষণের পাশাপাশি ওই মহিলাকে মারধরও করা হয়েছে।

মহিলার ছেলের বৌ শনিবার বলেন, “মা-কে মারধর করে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে ওই তিনজন কারা, তা জানি না। চিনি না।’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। ওই মহিলা এক কিশোরকে চিনতে পেরেছেন। তাঁর কাছ নাম জেনেও ওই নাবালককে ধরা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “মহিলার উপর শারীরিক অত্যাচারের যে হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ডাক্তারি পরীক্ষার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কিন্তু কেন মারধর করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এ দিনই দ্বারিগেড়িয়া হাসপাতাল থেকে ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন ডেপুটি পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস ও গড়বেতার ওসি অখিলেশ সিংহ। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে জানা গিয়েছে। তাই পরে কথা বলতে চান পুলিশ আধিকারিকরা। এ দিন গড়বেতা-৩ ব্লকের ওই এলাকাতেও যান পুলিশের প্রতিনিধিরা। শনিবার সকালে নিগৃহীত মহিলার স্বামী বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুনেছি জনা তিনেক লোক আমার স্ত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা কারা, আমরা জানি না।’’ এ দিকে যাঁর বাড়িতে কার্তিক পুজোর অনুষ্ঠান চলছিল তিনিও দায় এড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, “গ্রামের সবাই এসেছিলেন, আনন্দ করছিলেন। আমি নানা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ফলে ঠিক কী ঘটেছে আমার কাছে পরিষ্কার নয়।” স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য দাবি তুলেছেন, ঘটনায় জড়িতদের তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ঠেকে হানা। দু’টি চোলাই ঠেকে হানা দিল ঝাড়গ্রাম জেলা আবগারি দফতর। শনিবার নয়াগ্রাম থানার চুনপাড়া ও পচাগেড়িয়া এলাকায় জেলা আবগারি অধিক্ষক অর্ণবকুমার দে-র নেতৃত্বে নয়াগ্রাম সার্কেলের আধিকারিকরা ওই দু’টি গ্রামের মদের ভাটিতে হানা দেন। তল্লাশি চালিয়ে ৫৬০০ লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম নষ্ট করে দেওয়া হয়। তবে কাউকে ধরা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Molestation Minor Arrested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE