Advertisement
E-Paper

বিস্কুট খাইয়ে লুঠের চেষ্টা, পাকড়াও দুষ্কৃতী

খাবারে মাদক মিশিয়ে রেলযাত্রীদের বেহুঁশ করে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেওয়া— দীর্ঘদিন ধরেই এই পেশায় হাত পাকিয়েছিল ওড়িশার জগৎসিংহপুরের যুবক দেবরাজ রাউত। আগে বারবার চেষ্টা করেও ওই যুবককে ধরা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৪
(ইনসেটে) গ্রেফতার হওয়া দেবরাজ রাউত। ধৃতের থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। —নিজস্ব চিত্র।

(ইনসেটে) গ্রেফতার হওয়া দেবরাজ রাউত। ধৃতের থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। —নিজস্ব চিত্র।

খাবারে মাদক মিশিয়ে রেলযাত্রীদের বেহুঁশ করে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেওয়া— দীর্ঘদিন ধরেই এই পেশায় হাত পাকিয়েছিল ওড়িশার জগৎসিংহপুরের যুবক দেবরাজ রাউত। আগে বারবার চেষ্টা করেও ওই যুবককে ধরা যায়নি। সোমবার যাত্রীদের সামগ্রী লুঠ করে পালানোর সময় দেবরাজকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন রেলের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। তাকে খড়্গপুর রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ ছাড়ে খড়গপুর-খুরদা রোড প্যাসেঞ্জার। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরেই অন্য একটি ট্রেনে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে খড়্গপুরে আসেন জলেশ্বরের বাসিন্দা শেখ ওয়াসেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য খড়্গপুর থেকে খুরদারোডগামী ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ওঠেন তিনি। খড়্গপুর থেকে ট্রেন ছাড়ার আগেই শেখ ওয়াসেনের পাশে এসে বসে দেবরাজ। ওয়াসেনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দেবরাজ। অভিযোগ, কথার মাঝেই ওয়াসেনকে বিস্কুট খেতে দেয় ওই যুবক। ট্রেনটি বেলদা স্টেশন ছাড়ার পরেই ট্রেনে থাকা অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের ঘটনাটি নজরে আসে। এরপরেই আড়াল থেকে দেবরাজের উপর নজর রাখতে শুরু করেন তাঁরা। প্রায়ই ওই রুটের ট্রেনে লুঠপাটের অভিযোগ ওঠে। তাই এ দিনই বিশেষ অভিযানে খড়্গপুর থেকে ওই ট্রেনে ওঠেন রেলের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা।

অভিযোগ, বিস্কুট খাওয়ার পরে বেহুঁশ হয়ে যান শেখ ওয়াসেন। তারপরই ওয়াসেনের জিনিস পত্র নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ার তাল করেছিল দেবরাজ। জলেশ্বর স্টেশনে নেমে যাওয়ার জন্য দরজার কাছেই দাঁড়িয়েছিল সে। তবে পালিয়ে যাওয়ার আগেই দেবরাজকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।

ওই অভিযানের নেতৃত্বে থাকা অপরাধদমন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মনোজকুমার সিংহ বলেন, “ট্রেনে এই ধরনের অপরাধ ঠেকাতেই এ দিন আমরা অভিযান চালাচ্ছিলাম। দেবরাজ রাউত নামে ওই যুবক দীর্ঘদিন এই কাজ করছিল। এ দিন ওকে হাতেনাতে ধরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পানীয় ও খাবারে মাদক মিশিয়ে দেওয়ায় ওই যাত্রী বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলেন। যাত্রীরা সচেতন হলে এই প্রবণতা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে।”

miscreants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy