পুড়ে যাওয়া গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্কুটিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্কুটি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতেও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার বলরামপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য চন্দনা সিংহ বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে চন্দনার। তিনি জানান, দরজা খুলে দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে তাঁর স্কুটি। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বাঁশের বেড়াতেও। তা ক্রমশ ঘরের ভিতরেও ছড়িয়ে যায় বলে দাবি। দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরে আটকে যান চন্দনা।
চন্দনার চিৎকারে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। তাঁরাই জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে গাড়িটি পুড়ে গিয়েছে। চন্দনা বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে এলাকায় কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমি যেহেতু তৃণমূল করি, তাই বিজেপির দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার আশঙ্কা।’’ শনিবার পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দনা। এ দিন চন্দনার বাড়িতে যান মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির প্রধান আফজল শা। আফজল বলেন, ‘‘আমার ভাই কুরবানকে যারা খুন করেছিল, এটা তাদের দলেরই কাজ। তারাই আমাদের দলের উপরে বারবার আঘাত করে আমাদের চেপে রাখতে চাইছে। প্রশাসনকে বলব বিষয়টি কড়া নজরে দেখতে।’’ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বলরামপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।
যদিও এ বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘বিজেপিকে দোষ দেওয়া তৃণমূলের ফ্যাশান হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্যই এ সব ঘটনা ঘটছে।’’
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে মাইশোরায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুরবান শা। চলতি মাসেই মাইশোরা বাজারের অদূরে কুরবানের দাদা তথা তৃণমূল নেতা আফজলের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। এবার ফের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের গাড়িতে ও বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা সমানে আসায় ওই এলাকায় দলের নেতাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেছেন কর্মীদের একাংশ। এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা দলগতভাবে বিষয়টি নিয়ে দেখছি কী করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy