জলপ্রপাত এলাকায় তখন তল্লাশি চলছে। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে বেলপাহাড়ির ঘাগরা জলপ্রপাত এলাকা থেকে উদ্ধার হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী সঙ্কেত সিংহের (২৫) দেহ।
সদ্য চাকরি পেয়ে মাস তিনেক আগে এসআইবি (সাবসিডিয়ারি ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) ঝাড়গ্রাম শাখার সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে ঘাগরায় বনভোজন করতে গিয়েছিলেন সঙ্কেত। সহকর্মীদের দাবি, জলপ্রপাতের খাদের সঞ্চিত জলে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। তারপরই সঙ্কেত তলিয়ে যান। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও দমকল কর্মীরা জলপ্রপাতের বিভিন্ন এলাকায় টানা তল্লাশি চালিয়েও সঙ্কেতের হদিস পাননি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো ও বেলপাহাড়ির আইসি দীপক সরকারের উপস্থিতিতে পুলিশ কর্মীরা তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশিতে সাহায্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পে-লোডার দিয়ে বালি-মাটি তুলে এনে জলপ্রপাতের ধারা সাময়িক আটকে দেওয়া হয়। পাথরের খাদ ও গহ্বরের মধ্যে প্রবাহের সঞ্চিত জল তিনটি পাম্প চালিয়ে বের করা হয়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা খাদে নেমে সঙ্কেতের দেহটি উদ্ধার করেন। এ দিন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে দেহটি সুরতহালের পরে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
তারাফেনি নদীর উৎসস্থল হল ঘাগরা জলপ্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ঘাগরার খাদের জলে নামাটা বিপজ্জনক। এর আগে কখনও এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার পরে ঘাগরা জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটক ও বনভোজনে আসা লোকজনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। নৈসর্গিক এই জায়গাটিতে প্রশাসন-পুলিশের নজরদারি নেই। বেলপাহাড়ির বিডিও সন্তু তরফদার বলেন, “ঘাগরায় পর্যটকদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ওই এলাকায় মদ্যপান ও বিপজ্জনক কাজকর্ম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বোর্ড দেওয়া হবে। ওখানে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy