অজান্তেই ব্যাগ থেকে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল পাঁচশো টাকার নোট। মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা থেকে সোমবার সেই টাকা ফের পেলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুশান্ত পট্টনায়েক। সৌজন্যে চার খুদে পড়ুয়া।
ঘটনাটি গত শনিবারের। খেলার মাঠ থেকে সন্ধের মুখে বাড়ি ফিরছিল শ্রেয়সী মহাপাত্র, দেবনীল মহাপাত্র, সৃজিতা সাউ, সোহিনী দাস। দেবনীল শ্রেয়সীর ভাই। অরবিন্দনগরের বাসিন্দা শ্রেয়সী, সৃজিতা, সোহিনী তিনজনই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে তাঁরা একটি পাঁচশো টাকার নোট পড়ে থাকতে দেখে। প্রথমে একটু দ্বিধা থাকলেও শেষমেশ তারা নোটটা কুড়িয়ে নেয়। সকলে বাড়ি ফেরে। প্রথম থেকেই শ্রেয়সীরা ঠিক করেছিল, টাকাটা তারা কোনও গরিব মানুষকে দিয়ে দেবে। পরে তারা ঠিক করে, টাকাটা তারা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে জমা দেবে। কারণ, যার টাকা পড়ে গিয়েছে সে যদি খোঁজাখুঁজি করে!
শ্রেয়সীর বাবা সুব্রত মহাপাত্র গোপীবল্লভপুর- ২ এর বেলিয়াবেড়া কেসিএম হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। রবিবার সকালে সুব্রতবাবুকে সঙ্গে নিয়েই কোতোয়ালি থানায় গিয়ে টাকা ফেরত দেন সোহিনীরা। সেই টাকাই ফিরিয়ে দেওয়া হল সুশান্তবাবুকে।
জানা গিয়েছে, অরবিন্দনগরের বাসিন্দা সুশান্তবাবু ওই দিন বিকেলে ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন। মাঝপথে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করেছিলেন। সেই সময়ই পকেটে থাকা পাঁচশো টাকার নোট পড়ে যায়। ওষুধ দোকানে পৌঁছনোর পরে তিনি বুঝতে পারেন, টাকাটা পড়ে গিয়েছে। সোমবার আনন্দবাজারে থানায় টাকা ফেরতের খবর প্রকাশিত হয়। খবর পড়েই বিষয়টি জানতে পারেন সুশান্তবাবু। রাতে সুব্রতবাবুকে নিয়ে তিনি থানায় যান। মেদিনীপুরের এক পুলিশ কর্তাও বলছেন, “চার খুদে যে কাজ করেছে, সেই কাজ শহরে নজিরবিহীন। ওদের এই শিক্ষা, এই মনোভাব প্রশংসারই।”
জখম চার। ছাদের পাঁচিল ভেঙে পড়ে গুরুতর জখম হলেন চারজন। মঙ্গলবার দুপুরে সাঁকরাইল থানার কুলটিকরি গ্রামের ঘটনা। এ দিন ওই গ্রামের ভগীরথ বেরা ও তাঁর পাঁচ ভাই কাকার বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ক্রিয়াকর্ম করছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন বৃষ্টি নামে। ত্রিপলের সামিনায়ার খুঁটি বাঁধা ছিল ছাদের পাঁচিলের দু’টি প্রান্তের সঙ্গে। দমকা বাতাসে ছাদের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে নীচে পড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy