জেলায় চালু হল আরও তিনটি বালি খাদান। সবমিলিয়ে বালি খাদানের সংখ্যা বেড়ে হল ১২টি।
রাজ্যের অন্য জেলাগুলির তুলনায় ঝাড়গ্রাম আয়তনের দিক থেকে অনেকটাই ছোট। এই জেলার কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীর বিভিন্ন ব্লক থেকে বালি উত্তোলন হয়। ভূমি দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলায় বছর পাঁচ আগেও ৭৩টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত খাদান ছিল। সংখ্যা কমেছে ক্রমশ। একসময়ে তা ঠেকেছিল চারটিতে। পরে বেড়ে হয় ন’টি। এ বার খাদানের সংখ্যা ডজন ছুঁল। নতুন যে তিনটি খাদানের অনুমোদন মিলেছে সেগুলি হল, বিনপুর ১ ব্লকে দু’টি এবং সাঁকরাইল ব্লকে একটি। ঝাড়গ্রাম ব্লকে কোনও সরকারি খাদান নেই। জানা গিয়েছে, জেলায় আরও কিছু খাদান চালু হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আগে খাদানগুলি ছিল ছোট। এখন বড় খাদানের অনুমতি দিচ্ছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভলেপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড’। খাদান চালুর প্রক্রিয়া শুরুর সময় জেলার কাছ থেকে অনুমতি পত্র চেয়ে পাঠায়। সে ক্ষেত্রে জেলার কমিটি সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর খাদানের ছাড়পত্র মেলে রাজ্য থেকে। এমনকি টেন্ডার হয় রাজ্য থেকে। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আর লক্ষ্মণ পেরুমল বলেন, ‘‘আরও তিনটি খাদান চালু হয়েছে। এখন মোট ১২টি খাদান রয়েছে।’’ ঝাড়খণ্ড থেকে এ রাজ্যে বিনা নথিতেই ঢুকছে বালি বোঝাই লরি। আর সেই বালি বোঝাই লরি প্রতিদিনই ধরা পড়ছে পুলিশের হাতে। গত কয়েকদিনে বেআইনি ভাবে বালি পাচারের অভিযোগে ১৯ জন বালি লরির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বালিভাসা এলাকায় ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশ। ধৃতরা হল গৌতম পাত্র, সুনীল পাত্র, কৃষ্ণ পাতর, ভূপেন মুর্মু, সমর সাধন। ধৃতদের মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড থেকে গাড়ি গুলি বালি বোঝাই করে লরি আসছে। এই চক্রে কারা জড়িত রয়েছে তা জানার জন্য ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)