Advertisement
E-Paper

এক থানাতেই বছরে দেড়শো দুর্ঘটনা, চিন্তা

জেলার কোন চারটি থানা দুর্ঘটনাপ্রবণ? জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, খড়্গপুর লোকাল, গড়বেতা, শালবনি এবং মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০০:১৯
পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানছে পুলিশই।

পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানছে পুলিশই।

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪০টি দুর্ঘটনাপ্রবণ থানার মধ্যে ৪টি থানা পশ্চিম মেদিনীপুরের। কোনও থানা এলাকায় বছরে একশো, আবার কোনও থানা এলাকায় দেড়শোটি দুর্ঘটনা ঘটে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “রাজ্যের ৪০টি থানা এলাকা এমন রয়েছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়। এরমধ্যে ৪টি থানা পশ্চিম মেদিনীপুরের। এটা দুর্ভাগ্যের।” তাঁর কথায়, “কোথাও রাস্তাঘাটের সমস্যা রয়েছে। কোথাও সেতুর সমস্যা রয়েছে। হঠাৎ করে রাস্তা ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই সব থানা এলাকায় দুর্ঘটনা কমানোর সব রকম চেষ্টা চলছে।”

জেলার কোন চারটি থানা দুর্ঘটনাপ্রবণ? জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, খড়্গপুর লোকাল, গড়বেতা, শালবনি এবং মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়। ওই চারটি থানা এলাকাতেই জাতীয় সড়ক রয়েছে। খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায় ৬০ নম্বর এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক রয়েছে। মেদিনীপুর কোতোয়ালি, শালবনি এবং গড়বেতা থানা এলাকাতেও রয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায় প্রায় ১৫০টি দুর্ঘটনা হয়েছে। শালবনি, গড়বেতায় প্রায় ৮০টি করে দুর্ঘটনা হয়েছে। মেদিনীপুর কোতোয়ালিতে প্রায় ১০০টি দুর্ঘটনা হয়েছে। সম্প্রতি জেলায় দু’- দু’টি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায় এক বাস দুর্ঘটনায় ৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শালবনি এলাকায় ট্রেকার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৫ জন যাত্রী।

পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে গিয়ে দুর্ঘটনায় রাশ টানতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বেঁধে দিয়েছেন নতুন স্লোগান। ‘স্লো ড্রাইভ, সেভ লাইফ’। পুলিশ সূত্রের খবর, সব দিক খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। জেলায় নতুন করে তৈরি করা হয়েছে ট্রাফিক গার্ডের ১৮টি ইউনিট। ৭৬২ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিকের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। আপাতত, পুলিশের লক্ষ্য, দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই ৪টি থানা এলাকায় সামনের এক বছরে ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “৪০-৪০ মিশন সামনে রেখে কাজ হচ্ছে। ৪০টি থানা এলাকায় এক বছরে ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানোই রাজ্য পুলিশের লক্ষ্য। সেই মতো জেলায় কাজ শুরু হয়েছে।”

পথ নিরাপত্তা নিয়ে সবস্তরে যে এখনও সচেতনতা গড়ে ওঠেনি তা মানছে জেলা প্রশাসনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। আরও কর্মসূচি করতে হবে। কর্মসূচি হচ্ছেও।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দেখা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা যান, তাঁদের একটা বড় অংশই মোটরবাইক চালক কিংবা আরোহী। হেলমেট ব্যবহার করলে মৃত্যু এড়ানো যেতে পারে। নিজের ভালর জন্যই মাথায় হেলমেট পরে গাড়ি চালাতে হবে। এটা সকলকে বুঝতে হবে।”

প্রশ্ন একটাই। নিজের ভাল সকলে কবে বুঝবেন!

Police station Accidents
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy