এখানেই হওয়ার কথা ছিল পার্কটির। নিজস্ব চিত্র।
ঘাটাল শহরে পার্ক তৈরির জন্য সাংসদ কোটা থেকে টাকা বরাদ্দ করেছিলেন দেব। শহরের বিবেকানন্দ পল্লিতে সরকারি জমিতে পার্ক তৈরির জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছিল পুরসভা। শিলান্যাসের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ওই জমিতে যাওয়ার জন্য ঢালাই রাস্তাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও বরাদ্দ ফেরৎ পাঠাল তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পুরসভা। ঘটনায় হতাশ ঘাটালবাসী। ক্ষুব্ধ সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীও।
ঘাটাল শহরে পুরসভার নিজস্ব কোনও শিশু উদ্যান নেই। স্থানীয়রা বারবার পুরসভার কাছে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও সাহায্য মেলেনি। বাসিন্দারা সরাসরি নালিশ জানান সাংসদের কাছে। শহরে পার্ক নেই শুনে কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলেন দেব। প্রতিশ্রুতিও মতো টাকা অনুমোদনও করেছিলেন। এরপর শহরের ১৭নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লিতে সরকারি খাস জমিতেই শিশু উদ্যানের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় পুর-কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, পার্ক তৈরির তদারকি কে করবে, এই দড়ি টানাটানিতে বাধা পড়েছে পার্ক তৈরির কাজে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, জমি সমস্যা স্রেফ অজুহাত। কাজের দেখভাল কে করবে এই টানাপোড়েনের কারণেই এমন বিপত্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরসভার এক কাউন্সিলর বলেন, “সাংসদ চেয়েছিলেন তাঁর নিজস্ব এজেন্সির মাধ্যমে পার্কটি তৈরি করবেন। স্থানীয় ভাবে দেখভাল করবে পুরসভা ।আর এখানেই বিপত্তি ।ঠিকাদার নিয়োগের এক্তিয়ার সাংসদ কেড়ে নেওয়ায় বেজায় চটে যান স্থানীয় নেতৃত্বরা। এমনকী টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় দলের গুটিকয়েক নেতৃত্ব।” পুরসভার এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দলেরই একাংশ। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘পুরসভার টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুবই বিরক্ত সাংসদ। তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।’’
কী কারণে ফেরৎ পাঠানো হল বিধায়কের বরাদ্দের টাকা? ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের দাবি, “জমি সমস্যার কারনেই আমরা সাংসদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। লিখিতভাবে সাংসদ এবং জেলা শাসককে তা জানানো হয়েছে। ওই জমিতেই পার্ক হবে ।ইতিমধ্যেই পুরমন্ত্রীকে টাকা দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছি।’’ কিন্তু জমি-সমস্যার জন্যই তো টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। তাহলে ওই জমিতেই পার্ক হবে কী করে? উত্তর মেলেনি। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy