ওড়িশার বেসরকারি কলেজে খড়্গপুরের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রের বাড়িতে ফোন করে জানান, আত্মঘাতী হয়েছেন মহম্মদ আজিমুদ্দিন। পরিবার সেই দাবি মানেনি। তারা ২১ বছরের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছে।
মৃত ছাত্রের বাড়ি খড়্গপুর শহরের সাজোয়াল এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাড়ির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আজিমুদ্দিন। ১০ নভেম্বর তিনি কলেজে ফিরে যান। পরিবারের অভিযোগ, রবিবার হঠাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানান যে, আজিমুদ্দিন গুরুতর অসুস্থ। কিছু ক্ষণ পরে আবার জানানো হয়, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ‘পরস্পরবিরোধী’ কথায় ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়, বিষয়টি ধোঁয়াশায় ঢাকা। হস্টেলে যে ঘরে আজিমুদ্দিন থাকতেন, সেই ঘরে তাঁর দেহ মেলেনি। ওই ছাত্রকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওড়িশা পুলিশও যথাযথ সহযোগিতা করছে না।
মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সাজোয়ালে যান স্থানীয় বিধায়ক সুজয় হাজরা, খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়ক সুজয় বলেন, “পরিবারের পাশে রয়েছি। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সত্য সামনে আসতেই হবে।” মৃতের কাকা শেখ ফিরোজ বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, সঠিক তদন্ত হোক। যদি কেউ জড়িত থাকেন, তাঁর কঠোর শাস্তি হোক।”
মামা বিলাল আহমেদ জানান, দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র ২ তারিখ বিয়ের অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে ১০ তারিখ ওড়িশায় ফিরে যান। তাঁর পরীক্ষা ১৬ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ফেরার পর ভিডিয়ো কলে বোন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর মেলে। বিলালের দাবি, ছাত্র যে ঘরে থাকতেন, তার থেকে তিনটি ঘরের পরে অন্য এক ছাত্রের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘরের দরজা ভাঙা ছিল বলেও দাবি করেছেন বিলাল। তাঁর প্রশ্ন, তা হলে সেই ঘরে প্রবেশ করে কী ভাবে আত্মহত্যা করলেন ওই ছাত্র? ঘটনার তদন্তে নেমেছে ওড়িশা পুলিশ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে পরিবারের মধ্যে।