লন্ডভন্ড: কালবৈশাখীর ফলে বইমেলার হাল। নিজস্ব চিত্র
কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া নন্দীগ্রাম বইমেলা প্রাণ ফেরাল পড়ুয়ারাই।
গত শনিবারের ঝড় কার্যত তাণ্ডব চালায় বইমেলায়। উড়ে যায় একাধিক বইয়ের স্টল। বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয় বহু বই। বইমেলা কমিটির সম্পাদক শিক্ষক রঞ্জিত শাসমল জানান, প্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকার বই নষ্ট হয়েছে। মেলা মাঠের পরিস্থিতি খারাপ। বইমেলা কমিটি দিন রাত করে কাজ করে মাঠের হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
রবিবার ছুটির দিন থাকলেও সারাদিন মেলা কী ভাবে ফের শুরু করা যায় তা নিয়েই ব্যস্ক ছিলেন বইমেলা কমিটির সদস্যরা। তবে সোমবার নন্দীগ্রামের একাধিক স্কুল থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। কার্যত শেষ হয়ে যাওয়া বইমেলায় প্রাণ ফেরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে। সোমবার বিধ্বস্ত মাঠে কারা বই কেনে এবং উৎসাহ দেয় সকলকে বই কিনতে। পুস্তক বিক্রেতা শৈবাল ভৌমিক, ভোলানাথ মণ্ডল জানান রবিবার মেলা প্রায় বন্ধ ছিল। মাঠ ঠিক করতেই কালঘাম ছুটে গিয়েছে।মেলায় ছুটির দিনে মানুষ আসেন। কিন্তু মেলার যা চেহারা তাতে রবিবার বিক্রি প্রায় হয়নি। তবে সোমবার প্রচুর ছাত্রছাত্রী এসেছিল। তারা বই কিনেছে।
নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিত কয়াল ঋণ নিয়ে বইমেলায় বইয়ের স্টল দিয়েছেন। তাঁর সমস্ত বই ঝড়ে পাশের পুকুরে গিয়ে পড়েছে। কানাইলাল জানার বইয়ের স্টলের সমস্ক বই বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে। এ দিন দু’জনেরই আক্ষেপ, ‘‘বহু কষ্টে বইয়ের স্টল দিয়েছিলাম। দামি দামি বই এনেছিলাম। নন্দীগ্রামের গ্রন্থাগারগুলি বই কেনার আগেই সর্বনাশ হয়ে গেল।’’
তবে সোমবার ছাত্রছাত্রীরা অনেকে বই কেনায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে তাঁরা।
তবে ঝড়ে দমতে রাজি নন বইমেলা কমিটি। সোমবার বইমেলা চত্বরে মহিষাদলের শঙ্খমালার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠিকভাবেই হয়েছে। মেলায় ছবির পসরা নিয়ে এসেছিলেন আবেদ। অনের ছবি জলে নষ্ট হয়েছে। মেলা শুরু করতে কোমর বেঁধেছেন তিনিও। এ দিন মেলা চত্বরে দেখা গেল মেলা শুরুর সাজ সাজ রব। যা দেখে অনায়াসেই বলা যায় ‘বই নষ্ট হয়, মেলা জেগে থাকে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy