Advertisement
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Vijay Bhunia Murder

বিজয়-খুনের পুনর্নির্মাণ, এনআইএ দল

২০২৩ সালের ১ মে গোড়ামহল গ্রামে বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কে বাড়ির অদূরে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বে বিরুদ্ধে।

বাকচায় এনআইএ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

বাকচায় এনআইএ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র Partha Pratim Das

নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়না শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৮
Share: Save:

হাই কোর্টের নির্দেশে ময়নার বাকচার বিজেপি নেতা বিজয় ভুঁইয়া খুনের মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কীভবে বিজয়কে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল, সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে বুধবার বাকচার গোড়ামহল গ্রামে গিয়ে এল এনআইএ’র একটি দল।

২০২৩ সালের ১ মে গোড়ামহল গ্রামে বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কে বাড়ির অদূরে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বে বিরুদ্ধে। বাকচার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা, পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিক-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি ভুঁইয়া। তদন্তে নেমে ময়না থানার পুলিশ মিলন-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে খুনের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তদের নাম পুলিশ চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন লক্ষ্মীরানি। হাই কোর্টের নির্দেশে গত এপ্রিলে তদন্তভার নেয় এনআইএ।

এ দিন দুপুর সাড়ে ১০টা নাগাদ গোড়ামহল গ্রামে ঘটনাস্থলে এনআইএ দল আসে। ২০২৩ সালের ১ মে বিজয়কে কীভাবে বাড়ির কাছ থেকে অভিযুক্তরা মারধর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তার বর্ণনা দেন অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীরানি। বিজয়ের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও এ দিন কথা বলেন এনআইএ আধিকারিকরা। লক্ষ্মীরানি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে যে ভাবে মারা হয়েছিল, সে বিষয়ে এনআইএ আমার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। আমি যা দেখেছি, তাই জানিয়েছি। এনআইএ যেভাবে তদন্ত করছে, তাতে আমাদের আস্থা রয়েছে। আমার স্বামীকে খুনের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছি।’’

বিজয়ের দেহ ময়না থানার পুলিশ উদ্ধার করেছিল। এদিন ময়না থানার পুলিশ এনআইএ’কে জানায়, কোথা থেকে তারা দেহ উদ্ধার করে। এনআইএ ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গেও কথা বলে সেদিন কী ঘটেছিল, তা জানতে চায়। এ দিনের তদন্তের বিষয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এনআইএ আধিকারিকেরা।

প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ

গোয়ালতোড়: এক মহিলাকে কুপিয়ে আত্মহত্যা করল এক প্রৌঢ়। গোয়ালতোড়ের নলবনা অঞ্চলের গামরু এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম হারু পাত্র (৫৫)। অষ্টমী মাল নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলা গুরুতর জখম হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। হারু ও অষ্টমী দু’জনেই বিবাহিত। তাঁদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই দু'জনের অশান্তি হয়। বুধবার সকালে বাড়ির সামনে খালপাড়ে একটি গাছে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় হারুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অষ্টমীকে। গোয়ালতোড় থানার পুলিশ আসে। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি কাটারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Mayna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE