এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেবরার ঘটনা। ওই দিন রাতে ওই কিশোরীর ঠাকুমা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ডেবরার বছর বাইশের যুবক ঝণ্টু দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বছর বারো আগে ওই কিশোরীর বাবার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপরে তার মা অন্য একজনকে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকে ঠাকুমার কাছেই থাকেন ওই কিশোরী। অভাবের সংসারে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে আগেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুমা মাঠে যাওয়ায় ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগে ঝণ্টু ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরী চিৎকার শুরু করলে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঝণ্টু তাঁর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয়রা প্রথমে ওই কিশোরীকে ডেবরার হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মেদিনীপুরে মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কিশোরীর ঠাকুমার অভিযোগ, “আমি মাঠে কাজ করছিলাম। বাড়িতে মেয়েটা একাই ছিল। দরজা খোলা থাকায় কোনও ভাবে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ঝণ্টু।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমার নাতনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওকে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে মারতে চেয়েছিল। স্থানীয়রা ছুটে আসায় মেয়েটা বেঁচে গিয়েছে। ওই ছেলেটার শাস্তি চাই।”
অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাবা মুরারী দাস এলাকার তৃণমূল নেতা। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, “বাবা নেতা হওয়ায় এলাকায় ছেলের দাপট বাড়ছিল। ভেবেছিল ধর্ষণ করেও পার পেয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দাবি মতো পুলিশ তৎপর হওয়ায় ঝণ্টু ধরা পড়েছে।” যদিও তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দে বলেন, “ঝণ্টু আমাদের দলের কর্মী নয়। ওর বাবা এক সময়ে দলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার পরে ওর বাবা আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি তা বরদাস্ত করিনি। আমি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” এ বিষয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy