নড়বড়ে: শালবনিতে তমাল নদীর পুরনো সেতু। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
জাতীয় সড়কে গতি আনতে তৈরি হবে নতুন সেতু ও কালভার্ট। ৬০ জাতীয় সড়কের মেদিনীপুর থেকে গড়বেতার ধাদিকা পর্যন্ত অংশে বেশ কয়েকটি বহু পুরনো সেতু ও কালভার্ট আছে। পারাং ও তমাল নদী এবং বিভিন্ন খালের উপরের সেতু-কালভার্টও জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে তার উপর দিয়েই যান চলাচল হচ্ছে। এতে যানজটের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই পুরনোর সেতু ও কালভার্টের পাশে নতুন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মেদিনীপুর থেকে গড়বেতার ধাদিকা পর্যন্ত অংশে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ১০ মিটার চওড়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝে পুরনো দিনের সংকীর্ণ সেতু থাকায় পাশাপাশি দু’টি গাড়ি পারাপার করতে পারে না। এক দিকের গাড়িকে অপেক্ষা করতে হয়। এতে রোজই যানজটে ভোগান্তি হচ্ছে। তাই নতুন চওড়া সেতু তৈরি হলে জাতীয় সড়কের গতিও বাড়বে। নতুন সেতুগুলি ১০-১২ মিটার চওড়া ও ১৫-৫৭ মিটার লম্বা হবে। এর জন্য ৪৩ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আর কালভার্ট তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৬ লক্ষ টাকা। কালভার্টগুলি ১২ মিটার চওড়া ও ৫-১১ মিটার লম্বা হবে। নতুন সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের (রোড) ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ডিভিশন-২’-এর নির্বাহী বাস্তুকার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই কাজ শুরু হবে। আর কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।’’
গোদাপিয়াশাল থেকে ধাদিকা পর্যন্ত রাস্তায় ৫টি পুরনো সেতু আছে। গোদাপিয়াশালের কাছারিরোডের কাছে পারাং নদীর উপর একটি সেতু, শালবনি কালীমন্দিরের সামনে জুলি খালের উপর একটি সেতু, শালবিতেই তমাল নদীর উপর একটি সেতু, চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতার মাঝে ইরিগেশন ক্যানালের উপর জীর্ণ সেতু এবং গড়বেতার ধাদিকার কাছে পাঁচপোল সেতু। এর মধ্যে চারটি সেতু ইট ও চুনসুরকির তৈরি। এই রাস্তার মাঝে সরু কালভার্টও আছে পাঁচটি। ভাদুতলার জঙ্গলে, আড়াবাড়ির জঙ্গলে, গড়বেতার জঙ্গলে, চন্দ্রকোনা ও গড়বেতার মাঝে লেদাপোলে পুরনো কালভার্টের পাশেই নতুন নির্মাণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy