প্রতিটি টোটোর ক্রমিক সংখ্যা থাকবে। সংখ্যা দেখে প্রতিটি টোটোকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যাবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়গ্রাম টোটো সংগঠন।
সংগঠনভুক্ত ২৫৫টি টোটোর সামনে ক্রমিক সংখ্যা লেখা থাকবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু টোটোতে নম্বর লেখা হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম টোটো সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক আঢ্য বলেন, “যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ। এখন থেকে প্রতিটি টোটোর সামনে নম্বর লেখা থাকবে। এর ফলে, কোনও টোটো চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সহজেই সংশ্লিষ্ট টোটোকে চিহ্নিত করা যাবে। নভেম্বর মাসের মধ্যে সংগঠনভুক্ত সব টোটোতে নম্বর লেখার কাজ হয়ে যাবে।”
এক শ্রেণির টোটো চালক ট্রাফিক আইন মানেন না বলে অভিযোগ ওঠে। অনেক টোটো আবার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করে। কয়েকজন টোটো চালক যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এ সব কারণে, প্রতিটি টোটোকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে, যাত্রীরাও টোটোতে ওঠার আগে নম্বর দেখে নিতে পারবেন। পরে সমস্যা হলে টোটোটি চিহ্নিত করা সহজ হবে।
তবে ঝাড়গ্রাম শহরের টোটো গুলিকে এখনও পারমিট দেয়নি পরিবহণ দফতর। ঝাড়গ্রাম টোটো সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক আঢ্য বলেন, “আমরা টোটোর পারমিট ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য পরিবহণ দফতরে আবেদন জানিয়েছি।” পশ্চিম মেদিনীপুরের সহকারী পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “মেদিনীপুর শহরে বেশ কিছু টোটোকে পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। টোটোগুলিকেও পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।”