এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। রাজ্যের অনেকগুলি হাসপাতালের সঙ্গে শুরু হয়েছিল এগরা সুপারস্পেশ্যালিটির কাজও। মাস কয়েক আগে চালু হয়েছে সেটি। তৈরি হয়েছে নতুন ঝা-চকচকে ভবন, আনা হয়েছে আধুনিক সরঞ্জাম। কিন্তু এত দিন পরেও ব্লাড ব্যাঙ্ক গড়ে ওঠেনি এই হাসপাতালে।
গত শুক্রবার চালু হয়ে গিয়েছে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ওটি-ও। প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছে সফল ভাবেই। ওই দিন এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি এখন ভালই আছেন। তবে তাঁর জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক দিলীপ শাবল জানান, রক্তের প্রয়োজন হয়, এমন অস্ত্রোপচার এখনই করা হচ্ছে না এগরা সুপার স্পেশ্যালিটিতে।
এগরা সুপারস্পেশ্যালিটিতে অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ায় অবশ্য ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সে কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বক্তব্য, রামনগর, দিঘা, পটাশপুর, ভগবানপুর, মোহনপুর, দাঁতন থেকে রোগীরা আসেন এখানে। রক্তের প্রয়োজন হলে তাঁদের ছুটতে হয় কাঁথি বা তমলুকের ব্লাড ব্যাঙ্কে। কখনও আবার তাদের ‘রেফার’ করে দেওয়া হয় খড়্গপুর, মেদিনীপুর, কলকাতার সরকারি হাসপাতালে।
এগরার উপর দিয়েই গিয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজ্য সড়ক। এমন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটিতে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে। অনেক সময়েই রাজ্য সড়কে যাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁদের নিয়ে আসা হয় এখানে। তখন দ্রুত রক্তের জোগান দেওয়া দরকার হয়। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্ক না-থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে। সমস্যা থেকে যাচ্ছে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচারেও। কারণ সে ক্ষেত্রে অন্তত এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। স্থানীয়দের দাবি, ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হলে তবেই সুপার স্পেশ্যালিটি সম্পূর্ণ হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, “সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রক্তের ইউনিট থাকা প্রয়োজন। সেই মতো হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নতুন হাসপাতাল বলে একে একে চালু হচ্ছে পরিষেবাগুলি।” অক্টোবর মাসেই ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়ে যাবে বলে
জানিয়েছেন নিতাইবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy