মালঞ্চ রোডে আজও বসেনি নজরদারি ক্যামেরা।—নিজস্ব চিত্র
ছিনতাই থেকে গুলিচালনা— দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে একাধিকবার খবরের শিরোনাম এসেছে খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ রোড। শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তারপরেও পুলিশের নিয়মিত টহল তো দূর অস্ত, এই রাস্তায় নজরদারির জন্য ন্যূনতম সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই।
পুরসভা প্রাথমিকভাবে ঠিক করে, শহরের খরিদা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মালঞ্চ সেনচক পর্যন্ত রাস্তায় সিসিটিভি বসানো হবে। পুজোর আগেই খরিদা-মালঞ্চ রাস্তায় এই ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছিল পুরসভা। পরে শহরের সর্বত্র ক্যামেরা বসানো হবে বলেও ঠিক হয়। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো পেরিয়ে গেলেও এখনও বসেনি ক্যামেরা। কাজ দূরের কথা, দরপত্রও ডাকা হয়নি বলে পুরসভা সূত্রে
জানা গিয়েছে।
একাধিকবার মালঞ্চ রোডে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলেছে গুলিও। গত ১৭ জুন মালঞ্চর টাটা ব্যাঙ্ক এলাকায় সোনা ব্যবসায়ী উত্তম দাস দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। অল্পের জন্য তিনি বেঁচে গেলেও এক কাঠ মিস্ত্রির গায়ে গুলি লাগে। গত বছর ১২ জুন ভরদুপুরে মালঞ্চর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন এক ঠিকাদার। মোটরবাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে পালায়।
পরপর ঘটনা ঘটলেও মালঞ্চ রোডে পুলিশের টহল কম বলে অভিযোগ। এই রাস্তার ধারে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক রয়েছে। রয়েছে অনেক দোকানপাটও। শহরের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘খরিদার বড়বাতি থেকে মালঞ্চর সেনচক পর্যন্ত রাস্তা রাতে সুনসান হয়ে যায়।
রাস্তা দিয়ে একা হাঁটতেই ভয় করে। ওই রাস্তায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানো উচিত।’’
মালঞ্চর ব্যবসায়ী ভোলা অগ্রবালের অভিযোগ, ‘‘শহরে অপরাধে রাশ টানা যাচ্ছে না। নজরদারির জন্য দ্রুত সিসিটিভি বসানো দরকার। পুলিশের টহলদারিও বাড়ানো প্রয়োজন।” খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘পুরসভার মাধ্যমে একটি এলাকায় সিসিটিভি চালু হলে পরে শহরের বাকি অংশের কথাও ভাবা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘২৪ ঘণ্টাই রাস্তায় পুলিশ টহল দেয়। গত প্রায় একমাসে শহরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
কিন্তু সিসিটিভি কবে চালু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন সংস্থাকে সিসিটিভি বসানোর বরাত দেওয়া হবে সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সেই কারণে এখনও দরপত্র ডাকা যায়নি। আগে তিনটি সংস্থা দরপত্র জমা দিলেও পরে পুরসভা ঠিক করে ই-টেন্ডার করে কাজের বরাত দেওয়া হবে। তিন কিলোমিটার পথে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “পুজোর আগে সিসিটিভি চালুর চেষ্টা করব বলেছিলাম। কিন্তু ই-টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর পনেরো দিন অপেক্ষা করে ই-টেন্ডার ডাকা হবে। তবে এ বছরের মধ্যেই সিসিটিভি চালু হবে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy