চেয়ার ফাঁকা। তাই মোবাইলেই ডুব কর্মীদের। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
নোটের কোপ পড়েছে সাজগোজেও! সে দিনও যে সব বিউটি পার্লারে সকাল-সন্ধে নানা বয়সী মহিলাদের রীতিমতো ভিড় থাকত, সেই পার্লারই এখন ফাঁকা। সারাদিনে হাতে গোনা দু’চারজনের বেশি খদ্দের আসছেন না। যাঁরা নিয়মিত মাসে একবার বা ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল, ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করাতেন, এখন তাঁরাই বলছেন, ‘‘থাক। ক’দিন পরেই করা যাবে।’’ এই ছবি মেদিনীপুরের মতো মফস্সলের। শহরের বিউটিশিয়ান মমতা মাইতির কথায়, “খুচরো সঙ্কটেই এমনটা ঘটছে। ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে কোনও কাজ করানো দূর, কেউ ১৫-২০ টাকা দিয়ে থ্রেডিং পর্যন্ত করাতে চাইছেন না।”
টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা এখনও বাড়েনি। তাই খরচের ক্ষেত্রে সকলেই সাবধানী। কলেজ ছাত্রী থেকে চাকুরিরতা যুবতী, কিংবা মধ্যবয়সী গৃহবধূ, হাতখরচের টাকা অবলীলায় খরচ করতে চাইছেন না কেউ। তাই যাঁরা ক’দিন অন্তর পার্লারে গিয়ে ত্বক ঘষেমেজে, চুলের স্টাইল বদলে ঝকঝকে হয়ে উঠতেন, তাঁরা আর পার্লারের ধারপাশ মাড়াচ্ছেন না। রূপচর্চায় তাই ভাটার চান। মেদিনীপুরের আর এক বিউটিশিয়ান পল্লবী দুবের কথায়, “আগে মাসে যতজন পার্লারে আসতেন, এখন তার এক চতুর্থাংশ খদ্দেরও নেই। সত্যি বলতে কী, নিজেদের মাইনের টাকাটাও কাজ করে তুলতে পারিনি।”
মেদিনীপুরের মতো মফস্সল শহরেও এখন অলিগলিতে গজিয়ে উঠেছে বহু বিউটি পার্লার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরুষদের পার্লারও। ফেসিয়াল, মেনিকিওর, পেডিকিওর, ওয়াক্সিং, থ্রেডিং নানা পরিষেবা মেলে সেখানে। নিজেকে নজরকাড়া করে তুলতে অনেকে পার্লারে ৩-৪ ঘন্টাও সময় কাটিয়ে দিতেও দ্বিধা করেন না। পাঁচশো, হাজার টাকার কাজ করান অনেকেই। কিন্তু নোট সঙ্কটে তাঁরাই পার্লার ফাঁকা। বিউটিশিয়ানরা তাই চাইছেন, দ্রুত টাকার জোগান বাড়ুক। কাটুক খুচরোর আকাল। তবেই যে ছন্দে ফিরবে রূপচর্চার রুটিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy