দোল উৎসব পালনের জন্য রেশনের চাল-ডাল খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল জামবনি থানার শাবলমারা গ্রামে। অভিযোগ ছিল, দোল উৎসবের খরচ তুলতে শাবলমারার ডিলার পরিমল মাহাতোর থেকে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশন সামগ্রী নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা। এই মর্মে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে অভিযোগও জানায়। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা শনিবার শাবলমারা গ্রামে যান। যদিও গ্রামে গিয়ে অভিযোগের সারবত্তা মেলেনি বলে দাবি দফতরের আধিকারিকদের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল এ দিন শাবলমারা গ্রামে যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহকুমা খাদ্য নিয়ামক, খাদ্য দফতরের ব্লক পরিদর্শক। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে অভিযোগ সরেজমিন খতিয়ে দেখতে গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রামের অনেকগুলো বাড়িতেও গিয়েছি। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্থানীয় রেশন ডিলার পরিমল মাহাতোর দোকানে গিয়েও কোনও গরমিল নজরে পড়েনি। তদন্তের জন্য রেশনের খাতাপত্র বাজেয়াপ্ত
করা হয়েছে।’’
পার্থপ্রতিমবাবুর কথায়, ‘‘অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে এমন চারজন অভিযোগকারীর সঙ্গে গ্রামে গিয়ে কথা বলেছি। যদিও তাঁরা দাবি করেছে, মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের কাছে এমন কোন অভিযোগ তাঁরা করেননি।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে যুব তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি দেবনাথবাবু বলেন, ‘‘চক্রান্তকারীরা আমার নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের পদবি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষ লিখিত বা মৌখিক কোনও অভিযোগই জানায়নি। তারা সকলেই নিয়মিত রেশন পায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এ বার গ্রামের মেলা ৬২তম বছরে পড়ল। মেলা চালাতে গ্রামের মানুষেরাই সাধ্য মতো সাহায্য করেন। সে জন্য রেশনের বরাদ্দ চাল-ডাল বিক্রি করার প্রয়োজন পড়ে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy