প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ খানেক আগে নবান্ন থেকে কলকাতায় ‘মা’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরিবদের ৫ টাকায় ডাল-ভাত-তরকারি এবং ডিম দেওয়ার কথা ঘোষণার সঙ্গে তর জন্য অর্থও বরাদ্দ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় ওই প্রকল্প চালুও হয়ে যায়। কিন্তু এতদিনেও পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় ওই প্রকল্প চালুই করা হয়নি। জেলার তমলুক পুর এলাকায় চালু হলেও ‘মায়ের রান্নাঘর থেকে এখন বঞ্চিত পাঁশকুড়া, হলদিয়া, এগরা, কাঁথির মতো পুরসভা।
পাঁশকুড়া পুরসভায় এই প্রকল্প চালু না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে।শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, পাঁশকুড়া পুরসভা এই প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে উদাসীন।যদিও পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্রর দাবি, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প চালু করার জন্য বললেও সেই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা এখনও এসে পৌঁছয়নি।’’’ পাঁশকুড়া পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলর তথা বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক সিন্টু সেনাপতি বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ার মানুষ ৫ টাকার ডিম-ভাতের জন্য লালায়িত নয়। ৫০ টাকা দিয়ে ডিম-ভাত খাওয়ার ক্ষমতা এখানকার মানুষজনের আছে। ডিম-ভাতের গল্প শুনিয়ে ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে তৃণমূল।’’
হলদিয়া পুর এলাকার এক শ্রমিক বলেন, ‘‘কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিনই বাইরে খেতে হয়। ৪০ টাকায় ডিম ভাত পাওয়া যায়। সেটা যদি সরকারের তরফে মাত্র ৫ টাকায় পাওয়া যায় তাহলে অনেক টাকা বাঁচবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেও এখনও কোথায়ও তা দেখতে পাইনি।’’ হলদিয়ার পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘এর জন্য এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও নির্দেশ রাজ্যের তরফে আসেনি। সেজন্যই প্রকল্প চালু করা হয়নি।’’ যাকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, ‘‘তৃণমূলের চাল চোর নেতারা চাল বের করতেই ভয় পাচ্ছে। পাছে তাদের ভাগে কমে যায়। তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকল্প চালু করেনি। এ সবই ভোটের গিমিক।’’
এগরাপ পুরপ্রশাসক স্বপন নায়েক জানান, সরকারি নির্দেশিকা আসেনি তো বটেই। টাকার বরাদ্দও আসেনি। তাই এই প্রকল্পচালু করা যাচ্ছে না।
কাঁথি পুরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ঘোষণার পরেও এই প্রকল্প নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করতে পারেনি তারা। এক আধিকারিকের দাবি, বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে যে কোন মুহূর্তে। তার আগে পুর এলাকায় যে সব উন্নয়নের কাজ বাকি রয়েছে সেই সব কাজ শেষ করা নিয়েই ব্যস্ত সকলে। পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব ‘মা’ প্রকল্প চালু করা হবে।’’
আপাতত এই সব পুর এলাকায় ‘মায়ের রান্নাঘর’ থেকে ডাল-ভাত-তরকারি ও ডিম পেতে অপেক্ষাই সম্বল গরিবদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy