E-Paper

রেশন পেতেই ভোট দেন যাযাবরেরা

যেখানেই যান সঙ্গে আধার, ভোটার কার্ড নিয়ে ঘোরেন তাঁরা। মৌচাক ভেঙে মধু বিক্রি করে, কখনও চেয়েচিন্তে চলে পেট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৯:১০
বেলদা রেলস্টেশনে যাযাবরদের রোজনামচা। নিজস্ব চিত্র

বেলদা রেলস্টেশনে যাযাবরদের রোজনামচা। নিজস্ব চিত্র

ওরা যাযাবর। নেই কোনও স্থায়ী ঠিকানা। চন্দ্রকোনা রোড এলাকার আদিবাসী যাযাবর সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খোঁজেন উপার্জনের পথ। অনেকেই বেলদা রেল স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন। প্রতিবারই গণতন্ত্রের উৎসবে তারা শামিল হন তাঁরা কিন্তু অভিযোগ, মেলে না সরকারি পরিষেবা। তাদের বক্তব্য," ঘর নেই। ঘরে থাকব কী করে! কিছু পাই না। প্রতিবারে ভোট এলে ভোট দিতে যাই। রেশন পাওয়ার জন্য। এ ছাড়া আর কিছু পাই না।"

যেখানেই যান সঙ্গে আধার, ভোটার কার্ড নিয়ে ঘোরেন তাঁরা। মৌচাক ভেঙে মধু বিক্রি করে, কখনও চেয়েচিন্তে চলে পেট। ভোট দিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ ঠিক পৌঁছে যায় তাঁদের কাছে। বেলদা রেল স্টেশনের গুদাম ঘরের খোলা বারান্দায় বসে রঞ্জিতা সিংহ (মুক্তি) বলেন," রাজনৈতিক দলের লোক ভোট এলে জানিয়ে দেয়। এবারেও আমরা ভোট দিতে যাব। কিছু পাই না। ঘরও দেয়নি। তবু ভোট দিতে যাই রেশন পেতে।" বাপি সিংহ, গোপী সিংহ, বিকু সিংহ, কোন্দল সিংহেরা বলেন," ভোট দিতে যাব। কিছুই পাই না। তা-ও দিতে যেতে হয়। উপার্জনের স্থিরতা থাকলে কী আর এমন করে ঘুরে বেড়াতাম!"

বেলদার বাসিন্দা, লেখক রাধাকান্ত মাইতি বলেন, ‘‘গরিব মানুষের জন্য সরকার নয়। সরকারের সবটাই কর্পোরেটদের জন্য। এরা ছিঁটেফোঁটা শুধু পায়। এই সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে এই চিত্র আমাদের দেখতে হবে।" শুক্রবার, আজ সকলে দল বেঁধে নিজেদের গ্রামে যাবেন। ভোট দিতে। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। পঞ্চায়েত গঠিত হবে। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ। অনেকেই অনেক কিছু পাবেন। কিন্তু যাযাবরদের জন্য শুধু বরাদ্দ রেশন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 Nomads

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy