Advertisement
E-Paper

আগাম এগিয়ে মেয়েরা

কিন্তু এই প্রবণতার কারণ কী?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১৪

মাধ্যমিকে ছাত্রের থেকে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই জেলার ছবিটাই এক।

ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পরিসংখ্যানের একটা দিক। এর উল্টো পিঠে রয়েছে অন্য তথ্য। দুই জেলাতেই অল্প করে কমছে ছাত্রের সংখ্যা। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা।

কিন্তু এই প্রবণতার কারণ কী?

শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত একাংশের মতে, মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যাবৃদ্ধির নেপথ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। ঝাড়গ্রাম জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক তপনকুমার পাত্র বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যই গ্রামাঞ্চলের পিছিয়ে থাকা মেয়েরা পড়াশোনায় আগ্রহী হচ্ছে। স্কুলছুটের হার এবং কম বয়সে বিয়ের ঘটনার হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’ বেলিয়াবেড়া ব্লকের খাড়বান্ধি এসসি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল পাল বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে গত তিন বছর ধরে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এখন মেয়েদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। সরকারি সুযোগ সুবিধার ফলে গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরাও চাইছেন মেয়েরা পড়ুক।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার মাধ্যমিকে ছাত্রের থেকে ছাত্রীর সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে সংখ্যা বারোশোরও বেশি।

ছাত্রের সংখ্যা কমছে কেন? গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের সহ- প্রধান শিক্ষক প্রলয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছেলেরা কম বয়সে রোজগারের পথ খুঁজছে। কেউ বালি খাদানে কাজ করছে, কেউ ইটভাটায় কাজ করছে। মেয়েদের এ সব ক্ষেত্রে কম বয়সে কাজ করার সুযোগ নেই। ছেলেরা কম বয়সে রোজগারের পথ খুঁজছে বলেই মাধ্যমিকে ছাত্রের সংখ্যা কমছে।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরে গতবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৬.৬৪ শতাংশ ছিল ছাত্র। এ বার সেখানে ৪৬.৩৭ শতাংশ ছাত্র।

Madhyamik Student Boy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy