Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, গণ্ডিবদ্ধ বেড়ে ১৬১

প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ১৬১টি। দিন কয়েক আগেও সংখ্যাটা ছিল ১২৯টি।

মেদিনীপুরের সিপাইবাজারে চলছে জীবাণুমুক্তির কাজ। নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুরের সিপাইবাজারে চলছে জীবাণুমুক্তির কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩১
Share: Save:

জেলায় প্রায় রোজই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার (কন্টেনমেন্ট জ়োন) সংখ্যা দেড়শো পেরিয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ১৬১টি। দিন কয়েক আগেও সংখ্যাটা ছিল ১২৯টি। ওই সূত্রে খবর, এই সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি এলাকায় সংক্রমিতের হদিস মিলেছে। পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেই জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জেলায় করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হচ্ছে। ফলে, সংক্রমণ আরও কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ছিল ৮৬টি। পরে তা বেড়েছে ১২৯টি হয়েছিল। সংক্রমণ আরও কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে আরও ৩২টি এলাকার নাম সংক্রমিত এলাকার তালিকায় সংযোজিত হয়েছে।

জেলাশাসক রশ্মি কমলের বক্তব্য, ‘‘সবদিক দেখেই জেলায় কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ওই তালিকায় নতুন করে কয়েকটি এলাকা সংযোজিত হয়েছে।’’ জেলাশাসকের দাবি, করোনা মোকাবিলায় জেলায় যাবতীয় পদক্ষেপই করা হচ্ছে। ফলে, অহেতুক উদ্বেগের কিছু নেই। জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘জেলার কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে কড়া নজরদারি রয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, সবথেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি খড়্গপুর শহরে। ১৬১টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকার মধ্যে ৪১টিই রয়েছে রেলশহরে। জেলার সদর শহর মেদিনীপুরেও পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এই মুহূর্তে সদর শহরে ১৩টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, জেলায় ২০৮ জন কোভিড রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে মেদিনীপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬১ জন, শালবনির কোভিড হাসপাতালে ১১২ জন এবং ডেবরার সেফ হোমে ৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত জেলায় গৃহ নিভৃতবাসে থেকেছেন ৭৭,৮৫৬ জন। এঁদের সকলেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৩,৮২৭ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে করোনা পজ়িটিভ হয়েছে ১,১১৬ জনের। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘দিন দিন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে। এই সময়ে নিজেদের স্বার্থেই ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে মানুষজনকে।’’ তাঁর পর্যবেক্ষণ, কিছু এলাকায় এখনও অনেক মানুষই বিধি মেনে চলছেন না।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Paschim Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE