কর গুনে সপ্তমীর আর মাত্র সাতদিন বাকি। শুক্রবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে পিতৃতর্পণের পালা। শুরু দেবীপক্ষের। কিন্তু বৃষ্টির কমতি নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে কাল আকাশ থেকে নামছে বৃষ্টি। ফলে আশ্বিনেও বর্ষার আবহ।
আর তাতেই কপালে ভাঁজ পুজো উদ্যোক্তাদের। ব্যবসায়ীদেরও মুখে হাসি নেই। টানা বৃষ্টিতে শেষ করা যায়নি বেশির ভাগ পুজোর মণ্ডপের কাজ। কোথাও বাঁশের খাঁচায় ত্রিপল টাঙিয়ে রাখা। কোথাও আবার কাপড় লাগানোর কাজ শুরু করেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন উদ্যোক্তারা।
এ দিকে চতুর্থীতেই উদ্বোধন হয়ে যায় কাঁথির বিভিন্ন পুজোর। কলকাতার ধাঁচে থিম আর শৈল্পিক কারুকাজে অভিনব ও দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ তৈরি করে কাঁথির বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো উদ্যোক্তারা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন। মণ্ডপ তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই। এ বার কাজ শেষ করতেই হিমসিম পুজো কর্তাদের।
কাঁথির অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা ইউথ গিল্ডের পুজোর থিম স মুদ্রমন্থন। ৩৫লক্ষ টাকার বাজেটের বেশিরভাগই মণ্ডপ তৈরির জন্য বরাদ্দ করেছিলেন তাঁরা। তাতে জল ঢেলেছে বৃষ্টি। ক্লাবের সম্পাদক আশিস জানা বলেন, “মণ্ডপ তৈরির কাজ যতটুকু ভিতরে বসে করা যায় সে টুকুই করা সম্ভব হয়েছে। চতুর্থীতে উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। হাতে সময়ও নেই। অথচ বৃষ্টিও থামছে না। মন্ডপের বাইরের কাজও বৃষ্টির জন্য করা যাচ্ছে না।’’ আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। মণ্ডপসজ্জার বিভিন্ন জিনিসপত্র বৃষ্টির জলে ভিজে যাচ্ছে।