Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পাঁচ দিন পরেও অভিযুক্তরা অধরা, ক্ষোভ
BJP

টহলেও কাটছে না আতঙ্ক

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার-সহ সবং থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য বিজেপি’র। নিজস্ব চিত্র

নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য বিজেপি’র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়না শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১৩
Share: Save:

বোমা ফেটে বিজেপি কর্মী দীপক মণ্ডল মারা যাওয়ার পরে প্রায় এক সপ্তাহ কাটতে চলল। গত বেশ কয়েক মাস রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তপ্ত ময়নার বাকচা এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিশি টহল থেকে নানা পদক্ষের করার করা বলেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। অথচ দীপককে খুন করার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশ এখনও কেন একজনকেও আটক বা গ্রেফতার করতে পারল না তা নিয়ে প্র‌শ্ন উঠেছে। ক্ষুব্ধ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল তৃণমূলও।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার-সহ সবং থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। দীপকের মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশি টহল চললেও মঙ্গলবার ফের বাকচায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। বিজেপি ও তৃণমূল এর জন্য একে অন্যকে দায়ী করেছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার ময়নার দীপকের গ্রাম খিদিরপুরে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সেখানে দীপকের পরিবারের লোকজন হাজির ছিলেন। সভায় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম মল্লিক, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা আচার্য এবং পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকও ছিলেন। সেখানে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়।

প্রথম থেকেই তৃণমূলের দাবি, দীপকের কোমরে গামছায় বোমা বাঁধা ছিল। সেই বোমা ফেটেই তিনি মারা গিয়েছেন। তা মানতে নারাজ নিহতের পরিবার এবং বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘পুলিশ কখনই বিরোধীদের অভিযোগ শোনে না। দীপককে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে। খুনের বিচার চাইতে থানায় গিয়ে ধর্না দেব না। বরং আমরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং সবং থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানাব।’’

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘কারও নামে অভিযোগ থাকলেই তাকে গ্রেফতার করা যায় না। প্রাথমিক তদন্তে ওই বিজেপি কর্মীর কোমরে গামছা দিয়ে বোমা বাঁধা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এদিকে গত শনিবার দীপকের মৃত্যুর পর থেকে খিদিরপুর, মাধবচক-সহ বাকচা এলাকায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না স্থানীয়দের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস করছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Worker Death Moyna Death Bombing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE