ঝাড়গ্রাম সফরে পার্থ। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে বিজেপির পাল্টা সভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলের ত্রাণকর্তা নয়, পকেট ভরার কর্তা বলে কটাক্ষ করেছেন এক সময়ের সহকর্মীকে। তাঁর নিশানায় ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাও। বাইরে থেকে সৈন্য সেনাপতি এনে যুদ্ধ জেতা যায় না বলে বিজেপি সভাপতিকে কটাক্ষ করেন পার্থ।
দিন কয়েক আগেই এই মাঠে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু। সেই সভার পরেই পাল্টা সভার প্রস্তুতি নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা আর বামেদের বনধের মধ্যেই তৃণমূলের এই সভায় জনসমাগমও হয়।
পার্থ তাঁর বক্তৃতায় বিজেপির সভায় লোক না হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করেন। কটাক্ষ করে বলেন, “নড্ডাবাবু এখানে গাড্ডা খেয়েছেন। আর দেখুন মমতার প্রতি মানুষের সমর্থন। জনগণের সমর্থনই বলে দিচ্ছে, জনতা কার্ড আর মমতা কার্ডই এখানে কাজ করে।”
বক্তব্যে ঝাড়গ্রামে উন্নয়নের খতিয়ান দিতে গিয়ে পার্থ জানান, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সাঁওতালি ভাষার স্কুল হয়েছে। ৫০০ শিক্ষক নিয়োগের কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই সে প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে দাবি করেন পার্থ।
বিজেপি সিপিএমকে কার্যত এক সারিতে দাঁড় করিয়ে পার্থর দাবি, “মমতা যা প্রতিশ্রুতি দেন তা তিনি পালন করেন। বিজেপির মত ফাঁকিবাজ আর বামফ্রন্ট এর মত অত্যাচারী নন। শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”
নাম না করে শুভেন্দুকে পার্থর কটাক্ষ, “অনেক দল বদলু নেতা এখানে এসে বলে যান তাঁরা নাকি জঙ্গলমহলের ত্রাণকর্তা। তাঁরা ত্রাণকর্তা নন আসলে তাঁরা পকেট ভরার কর্তা। জঙ্গলমহলের মানুষের দুঃখে তাঁরা পাশে থাকেননি। মমতা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।”
সভায় পার্থর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাত, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সোরেন টুডু, জেলা সভাপতি তথা নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মুরা। সভা সেরে স্থানীয় একটি শিব মন্দিরে পুজো দেন পার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy