Advertisement
E-Paper

‘নির্মল’ জেলা সদরে বন্ধ শৌচাগার, দুর্ভোগ 

হলদিয়াগামী বাসস্ট্যান্ডে প্রতীক্ষালয় চালু থাকলেও তার পিছনেই তৈরি শৌচাগারটি তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ওই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা শৌচকর্ম করতে অসুবিধায় পড়েন। যাত্রীদের একাংশ বাধ্য হয়ে বন্ধ শৌচাগারের দেওয়ালের আড়ালেই বা পাশের নিকাশিনালায় প্রাকৃতিক কাজ সারেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৩
বাস স্ট্যান্ডের কাছে তালা বন্ধ শৌচাগার। তাই প্রকাশ্যেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া।নিজস্ব চিত্র

বাস স্ট্যান্ডের কাছে তালা বন্ধ শৌচাগার। তাই প্রকাশ্যেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া।নিজস্ব চিত্র

বাড়ি, বিদ্যালয়, কলেজ এবং জনবহুল স্থানে শৌচাগার তৈরি এবং ব্যবহারের সাফল্যের নিরিখে দু’বছর আগেই নির্মল জেলার স্বীকৃতি পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। কিন্তু খোদ জেলা সদর তমলুকে হাসপাতাল মোড়ের হলদিয়াগামী বাস স্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়ের পাশে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে শৌচাগার। একই রকম জেলা প্রশাসনিক অফিসের সামনে বাস স্ট্যান্ড চত্বরে তৈরি শৌচাগার তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থেকে ঝোপঝাড়ে ঢেকে গিয়েছে।

তমলুক শহরের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক। শহরে হাসপাতাল মোড়ের কাছে যুক্ত হয়েছে ময়না থেকে তমলুকগামী রাজ্য সড়ক। স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসপাতাল মোড়ের কাছে যাত্রীদের জন্য দু’জায়গায় বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। মেচেদাগামী ও হলদিয়াগামী বাসে ওঠানামার জন্য দুই বাসস্ট্যান্ডের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। প্রতিটি স্যান্ড থেকেই দিনে কয়েকশো যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের সুবিধার্থে দুই বাস স্ট্যান্ডে আলাদাভাবে প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি সড়ক সম্প্রসারণের জন্য মেচেদাগামী বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয় ভেঙে দেওয়া হলেও সড়কের উল্টোদিকে শৌচাগারটি চালু রয়েছে।

অন্যদিকে, হলদিয়াগামী বাসস্ট্যান্ডে প্রতীক্ষালয় চালু থাকলেও তার পিছনেই তৈরি শৌচাগারটি তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ওই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা শৌচকর্ম করতে অসুবিধায় পড়েন। যাত্রীদের একাংশ বাধ্য হয়ে বন্ধ শৌচাগারের দেওয়ালের আড়ালেই বা পাশের নিকাশিনালায় প্রাকৃতিক কাজ সারেন।

জেলা প্রশাসনিক অফিসের সামনে থাকা বাস স্ট্যান্ড চত্বরের শৌচাগার। নিজস্ব চিত্র

ময়নার তিলখোজা গ্রামের বাসিন্দা স্বরূপ মাইতি নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘শৌচাগার তালা বন্ধ। মেচেদার দিকে বাসস্ট্যান্ডের শৌচাগারও দূরে। এ দিকের শৌচাগারটি তৈরি থেকেও ব্যবহার যাচ্ছে না। আমরা তাহলে যাব কোথায়।’’ মহিষাদলের রাজ কলেজের পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, ‘‘তমলুক শহরে প্রায়ই আসতে হয় । কিন্তু এখানে বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করার সময় শৌচাগারে যেতে হলে সমস্যায় পড়ি। পুরুষ যাত্রীরা খোলা জায়গায় শৌচকর্ম সারলেও বিপাকে পড়ছেন আমাদের মতো মহিলা যাত্রীরা। এ নিয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’

শৌচাগারে বন্ধ থাকা নিয়ে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুদ্ধ বাসযাত্রীরা। এ নিয়ে তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাছে তৈরি শৌচাগারগুলি চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে শৌচাগার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Toilet Suffering
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy