Advertisement
১১ মে ২০২৪

মিছিলের ভিড়ে চাঙ্গা জোট

সোমবার খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী শহরের প্রাক্তন কংগ্রেস উপপুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। স্কুলজীবনে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের শিক্ষক ছিলেন চিত্তরঞ্জন।

মনোনয়ন-পথে: মিছিলে কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

মনোনয়ন-পথে: মিছিলে কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৯
Share: Save:

কংগ্রেসের একসময়ের খাসতালুক। দশবারের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন এই রেলশহরের ‘চাচা’ জ্ঞানসিংহ সোহন পাল। তবে ছন্দপতন হয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনে। চাচাকে হারিয়ে জিতেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনিই আবার হয়েছেন সাংসদ। সেই কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে আপাত ভাবে লড়াই তৃণমূল ও বিজেপি-র। কিন্তু চাচার শহরে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর মিছিলের ভিড়ে নয়া অঙ্ক উস্কে গেল।

সোমবার খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী শহরের প্রাক্তন কংগ্রেস উপপুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। স্কুলজীবনে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের শিক্ষক ছিলেন চিত্তরঞ্জন। এ দিন গুরু-শিষ্য দু’জনেই মনোনয়ন দিয়েছেন এক ঘণ্টার তফাতে। গুরু-শিষ্য দু’জনেই সদলবলে আসেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ মানস ভুঁইয়ার মতো নেতারা। কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গেও ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক শরৎ রাউত, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকারের মতো নেতারা। দু’পক্ষের মিছিলেই ছিল তাসা-বাজনা। তুলনায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও কংগ্রেসের মিছিলেও ভিড় ছিল যথেষ্ট।

কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন বলেন, “বহিরাগতদের এনে মিছিল করেছে তৃণমূল।” তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপের আবার দাবি, “সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে। আর এখানে বিজেপি দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেই অঙ্কে কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বুঝতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে বিজেপি তৃতীয় স্থানে চলে যাবে।”

কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দুও। তাঁর কটাক্ষ, “কংগ্রেস সাইনবোর্ড পার্টি। দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেস ১ শতাংশ। মানুষ জেনে গিয়েছে নোটায় ভোট দেওয়া ও কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া একই বিষয়। চিত্তবাবুর জামানত চলে যাবে।” শুভেন্দুর আর দাবি, সিপিএম জোট করলেও বিজেপিকে ভোট দেয়। যদিও জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক শরৎ রাউত বলেছেন, “গণনার দিন এসে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখতে হবে কে সাইনবোর্ড। দেশে মোদী ও রাজ্যে দিদির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের জয় হবেই।”

এ ক্ষেত্রে চাচাকে সামনে রেখেই লড়াই হবে বলে এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। চাচা যে ‘ফ্যাক্টর’ সেটা মানছে তৃণমূলও। শুভেন্দু নিজেই বলেন, “চাচা নমস্য, প্রণম্য ব্যক্তি। আমার পরিবারের অভিভাবক। আমার বাবা শিশির অধিকারী চাচার শিষ্য। চাচার আশির্বাদ তাঁর শিষ্যের পুত্র শুভেন্দু অধিকারী পাবে।” তবে ভোটের ফল প্রসঙ্গে শুভেন্দুর জবাব, “আমি গণৎকার নই। ভোটারদের উপর ফলাফল ছেড়ে দেওয়াই ভাল। আমাদের যা খামতি ছিল লোকসভা ভোটে গত চারমাসে সংগঠনকে আমরা দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। গণনার দিন দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Congress Kharagpur Assembly By Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE