বিয়েবাড়িতে স্প্রে করা সুগন্ধি থেকে চোখে সংক্রমণ ছড়াল ৬৫ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে বেলদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জলহরি শঙ্করপাড়ায়। বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে অসুস্থ ৬৫জনকে নিয়ে আসা হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ৩০জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চোখের চিকিৎসা চলছে।
শুক্রবার রাতে বেলদার জলহরি শঙ্করপাড়ায় অতুল রাউতের ছেলে বিশ্বজিতের বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। নাচ-গানর আসরে স্প্রে করা সুগন্ধি থেকেই সেখানে হাজির অতিথিদের চোখে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করছে চিকিৎসকেরা। সংক্রমিত রোগের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসার পরিভাষায় এই রোগকে ‘কেরাটো কঞ্জাক্টিভিটিজ’ বলা হয়। এই ধরনের সুগন্ধিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশে থাকে। তাতেই চোখে সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন সকলেই ভাল রয়েছেন।” ওই সুগন্ধির নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে তাতে কী ধরনের রাসায়নিক ছিল। প্রয়োজনে এই ধরনের রাসায়নিক যাতে কোনও সুগন্ধী প্রস্তুতকারক সংস্থা ব্যবহার না করে, সেই অনুরোধ জানানো হবে।
বৌভাত উপলক্ষে রাত দু’টো পর্যন্ত চলে নাচ-গান। সেই আসরেই পরিবারের এক সদস্য সুগন্ধি স্প্রে করেছিলেন। প্রথমে কারও সমস্যা হয়নি। তবে শনিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই রুমা রাউত, কণিকা রাউত-সহ আত্মীয়দের চোখে ব্যথা ও সঙ্গে চুলকানি শুরু হয়। লাল হয়ে যায় চোখ। পরে জানা যায় অনুষ্ঠানে আসা পড়শি সুশান্ত রাউত, গৌর রাউতদেরও একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ না থাকায় গোড়ায় সমস্যা হয়েছিল। পরে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিসকুমার মণ্ডলের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। যাঁর ছেলের বৌভাত ছিল, সেই অতুলবাবু বলেন, “উদ্বেগ কেটেছে। তবে আনন্দ অনুষ্ঠানে একটা ক্ষত থেকে গেল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy