Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বড়দিনে মাতোয়ারা শহর

পার্কে পিকনিক, গির্জায় প্রার্থনা

উৎসব শুরু হয়েছিল দিন দু’য়েক আগে থেকেই। রবিবারসীয় বড়দিনে সকাল থেকেই মাত্রা ছাড়াল ভিড়। মেদিনীপুরের গোপপার্কে রবিবার তিল ধারণের জায়গা ছিল না।

ইকোপার্কে চড়ুইভাতি। নিজস্ব চিত্র।

ইকোপার্কে চড়ুইভাতি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৯
Share: Save:

উৎসব শুরু হয়েছিল দিন দু’য়েক আগে থেকেই। রবিবারসীয় বড়দিনে সকাল থেকেই মাত্রা ছাড়াল ভিড়। মেদিনীপুরের গোপপার্কে রবিবার তিল ধারণের জায়গা ছিল না। রাত ১২টার পর থেকে খড়্গপুরের গির্জাগুলিতে শুরু হয় প্রার্থনা।

গোপপার্কে ৮৫টি পিকনিক স্পট রয়েছে। আর এ দিন ১৩০টি দল পিকনিকে এসেছিল। সকাল থেকেই ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রব। পার্কের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী বলছিলেন, “অনেকে এসে পার্কের মধ্যে একটু জায়গা দেওয়ার কথা বলেন। ওঁদের বলি, এখানে পিকনিকের বেশি শেড নেই। ওঁরা বলেন, শেড চাই না। একটু জায়গা হলেই হল। ভাড়াও দেন। তাই একটু জায়গা দিতেই হয়!” মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহাও মানছেন, “রবিবার মেদিনীপুরের পার্কগুলোয় প্রচুর ভিড় হয়েছিল। অনেকে পিকনিক করতে আসেন।”

শুধু পিকনিক নয়, রবিবার কোথাও বসেছিল আড্ডার আসর, কোথাও চলেছে দেদার খানাপিনা। এ দিন শহরে তাপমাত্রার পারদ ১২-১৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। শীতের রোদ গায়ে মেখে সকাল থেকেই ভিড়় জমতে শুরু করে। এ দিন পিকনিক করতে গোপপার্কে এসেছিলেন পারমিতা দাস, সৌমেন দত্তরা। পারমিতার কথায়, “বড়দিনে পিকনিকের মজাই আলাদা!” সৌমেনও বলছিলেন, “প্রতি বছরই এই দিনে পার্কে পিকনিক করতে আসি। মজা হয়।” পার্কগুলোকে আরও সাজানোর আশ্বাস দিচ্ছে বন দফতর। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “পার্কগুলোকে আরও কী ভাবে সাজানো যায় তা দেখা হচ্ছে। কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো কাজ হবে।”

পার্ক তো আছেই। পিকনিক করতে অনেকেই হাঁড়ি, কড়াই-সহ রান্নার উপকরণ নিয়ে কংসাবতী নদীর ধারেও জড়ো হন। নদীর ধারে পিকনিক করতে আসা রিতম রায়ের কথায়, “বড়দিনে পিকনিক করাটা মাস্ট! বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে মজাও হয়েছে।” খড়্গপুরের হিজলি ইকো পার্কেও ছিল ভিড়। ইকো-পার্কে পিকনিকে আসা রোশনি শর্মা, বিধান দে-রা বলেন, “বড়দিন মানেই যেন একটা আলাদা আমেজ। তাই আনন্দ উপভোগ করতে সকালে বাড়ির কাছেই ইকো-পার্কে পিকনিকে চলে এসেছি। বিকেলে গির্জায় ঘুরতে যাব।”

এ দিন খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরের সেক্রেড হার্ট গির্জা, ওল্ড সেটলমেন্টের সেন্ট অ্যান্টনি গির্জাটি রোমান ক্যাথলিক গির্জাতেও ছিল ভিড়। অনেক কচিকাঁচাও মোমবাতি হাতে গির্জায় হাজির হয়। শনিবার রাতেই সেক্রেড হার্ট গির্জায় প্রার্থনা হয়। ওই গির্জার সদস্য ক্যাথরিন গুহ বলেন, “প্রার্থনার সময়ে সেক্রেড হার্ট গির্জার সদস্যরাই ছিলাম। রবিবার বিকেলের পরে সকলের জন্য গির্জা খুলে দেওয়া হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Picnic Church Park
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE