সবুজ-বাঁচাতে: রক্তাদাতাদের গাছের চারা বিলি। নিজস্ব চিত্র
প্রেসার কুকার, টেবিল ফ্যান বা দেওয়াল ঘড়ি নয়। শিবিরে আসা রক্তদাতাদের অভ্যর্থনা জানানো হল গোলাপ ফুল দিয়ে। রক্তদানের পরে দেওয়া হল গাছের চারা।
সবুজ বাচানোর বার্তা দিতে এই উদ্যোগ মেদিনীপুরের এক ক্লাবের। শুক্রবার কর্নেলগোলায় এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। উদ্যোগের প্রশংসা করে গিরীশবাবু বলেন, “এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। চারা বিলির ফলে নিশ্চিত ভাবেই এলাকায় সবুজ বাড়বে।’’
গাছের চারাগুলো দিয়েছে মেদিনীপুর বন বিভাগ। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহাও বলছিলেন, ‘‘সকলেরই উচিত, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে আরও বেশি গাছ লাগানো।’’
এই উদ্যোগ যে ক্লাবের, সেই ‘আশার আলো অর্গানাইজেশন’-এর অন্যতম কর্তা সৌরভ বসুর কথায়, ‘‘এলাকায় আরও সবুজ সৃষ্টি করতেই এই উদ্যোগ।’’
মেদিনীপুর শহরে রক্তদান শিবির খুব একটা কম হয় না। যদিও রক্তদান শিবিরে উপহার দেওয়া নীতিবিরুদ্ধ। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তাও মানছেন, “শিবিরে রক্তদাতাদের উপহার দেওয়া অনুচিত।’’ তবু রক্তদাতা টানতে অনেক শিবিরেই চটকদার উপহার দেওয়া হয়। সম্প্রতি মেদিনীপুর পুরসভা আয়োজিত এক শিবিরে রক্তদাতাদের ঘড়ি দেওয়া দিয়ে বিতর্কও বেধেছিল। তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত শিবিরেও রক্তদাতাদের পাখা দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার কর্নেলগোলার রক্তদান শিবিরে অবশ্য অন্য ছবি দেখা গিয়েছে। চারা পেয়ে খুশি অনয় মাইতি, কাশীনাথ দাস, সন্তু দাসের মতো রক্তদাতারা। অনয় বলছিলেন, ‘‘বাগানে এই চারা পুঁতে দেবো। গাছের যত্নও নেবো।’’ কাশীনাথ, সন্তুদের কথায়, “রক্তদান শিবিরে এর থেকে ভাল উপহার আর হয় না।’’
এ দিনের রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন জেলা আদালতের গভর্মেন্ট প্লিডার (জিপি) সুকুমার পড়্যা, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মেদিনীপুর শাখার অধ্যক্ষ মিলনানন্দ। সুকুমারবাবু বলছিলেন, “প্রতি বছর অরণ্য সপ্তাহ উদ্যাপন হয়। বন বিভাগ প্রচুর চারা বিতরণ করে। উদ্যোক্তারা বুঝিয়ে দিলেন, এ ভাবেও চারা বিলি সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy