পোস্টার ছিঁড়ে দিচ্ছে পুলিশ। কেশিয়াড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি ফেরত চেয়ে পোস্টার পড়েছিল কেশিয়াড়িতে। বুধবার সন্ধ্যায় পোস্টার পড়তে না পড়তেই তা ছিঁড়ে দিয়েছিল পুলিশ। যদিও এর আগে কাটমানি বিতর্কে পুলিশকে সে ভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে পুলিশের দাবি, পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে কারণেই এলাকা থেকে পোস্টারগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কুকাই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর নামে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। আর এতেই অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। অভিযোগ, স্থানীয় ১১টি সরকারি প্রকল্পে তৃণমূলের নেতৃত্ব আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। অবিলম্বে ফেরাতে হবে সেই সব টাকা। তৃণমূল নেতা শিবরাম চক্রবর্তী, রূপালি সাহু, সমরেন্দ্র গিরি-সহ আটজনের উল্লেখ রয়েছে পোস্টারে। শাসক দলের দাবি, বিজেপির তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে এই পোস্টার। তবে সেই অভিযোগ মানেনি বিজেপি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পোস্টারের নিচে ‘আন্দোলনকারী সভ্য জনসাধারণ’ লেখা ছিল।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বুধবার রাতেই পুলিশের তরফে সেই পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ফের বেলদা-কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়কের ধারে বিভিন্ন জায়গায় আবার পোস্টার সাঁটানো হয়। কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ সেগুলিও ছিঁড়ে দেয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ— পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, শৌচাগার, এলাকার রাস্তাঘাট তৈরিতে নেতাদের নেওয়া কাটামানি ফেরানোর কথা লেখা ছিল। অভিযোগ, বন সৃজনেও আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। পোস্টারে নাম থাকা তৃণমূলের কুকাই বুথের সভাপতি সমরেন্দ্র গিরি এবং তৃণমূল নেতা বিমল দাসের কথায়, ‘‘আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, এমন কোনও প্রমাণ নেই। মিথ্যা অভিযোগ তুলে সম্মানহানি করছে বিজেপি।’’
অন্যদিকে, বিজেপির কেশিয়াড়ি উত্তর মণ্ডলের সভাপতি জগন্নাথ বসু বলেন, ‘‘পোস্টারে কোথাও বিজেপির নাম লেখা নেই। দলের সর্বোচ্চ নেত্রী যখন কাটমানির কথা বলছেন, সেখানে ওরা তা অস্বীকার করছে কী করে? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই পোস্টার।’’ এ দিকে কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পবিত্র শীট বলেন, ‘‘বিজেপির এ সব রাজনৈতিক চক্রান্ত। অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট জায়গায় জানাক। আমাদের দল নিয়ে ওদের ভাবতে হবে না।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় এলাকায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy