দাঁতনের কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতকে ধরতে হরিয়ানায় যাবে পুলিশের একটি দল। পুলিশের এক সূত্রে খবর, শীঘ্রই দলটি হরিয়ানায় রওনা দেবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশের দলটি হরিয়ানায় গিয়ে এই ঘটনায় জড়িত আর একজনের খোঁজ করবে। খোঁজ পেলে তাকে গ্রেফতারও করবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা মানছেন, “দাঁতনের এই ঘটনার তদন্তে পুলিশের একটি দল হরিয়ানায় যাবে।”
বছর দেড়েক আগে কাজের জন্য হরিয়ানায় গিয়েছিল দাঁতনের দেউলির বাসিন্দা বছর সতেরোর কিশোরী বুধনি মুর্মু ওরফে সরস্বতী। গত সোমবার সন্ধ্যায় একটচি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তার দেহ ফেরে গ্রামে। চালক ছাড়াও ওই অ্যাম্বুল্যান্সে অন্য একজন ছিল। দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। গত বুধবার অতুল চৌহান ও সুনীল কুমার নামে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অতুল অ্যাম্বুলেন্সের চালক। সুনীল হরিয়ানা থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে ব্যক্তি কিশোরীর মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে দাঁতনে পাঠিয়েছিল, সে হরিয়ানারই বাসিন্দা। গত রবিবার সন্ধ্যায় দাঁতনের দেউলির বাড়িতে ফোন আকরে বুধনির মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। জানানো হয়, অসুস্থ অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য হরিয়ানা থেকে আসা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে হাসপাতালের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে মৃত অবস্থাতেই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, বুধনি যে ভিন্ রাজ্যে কাজে যাচ্ছে, তা জানতেন না বাড়ির কেউ। মজুর খেটে ফিরে এসে একদিন পরিজনেরা দেখেন, বাড়িতে বুধনি নেই। এরপর তার খোঁজ শুরু হয়। পরে তাঁরা জানতে পারেন, পাশের গ্রামের এক যুবকের হাত ধরে বুধনি ভিন্ রাজ্যে কাজে যায়। ওই যুবক তাকে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েই ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যায়। দেউলির পাশের গ্রাম কোটপাদার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সুবল মালিক। ইতিমধ্যে সুবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু’জনকে আরও কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। যা তদন্তে সহায়ক হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy