নিহত রাজকুমার মান্নার সেই বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে বাজি তৈরি হত। বাজি তৈরির সময় ধূমপান করতে গিয়ে ঘটেছে বিপত্তি। শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় এই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন নিহত তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার স্ত্রী লতারানি মান্না। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়েরও করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়েরও করেছেন তিনি। ওই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ নানা ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, দমকল আইনেই দায়ের করা হয়েছে মামলা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে রাজকুমার ছাড়াও দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় রাজকুমারের স্ত্রী লতারানি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লতারানি দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী বেআইনি ভাবে বাড়িতে বাজি তৈরি করছিলেন। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, লতা দাবি করেছেন, স্বামীকে একাধিক বার বাজি তৈরি করা বন্ধ করতে বললেও তাঁর কথা শোনেননি রাজকুমার। লতা আরও জানিয়েছেন, বাজি তৈরি করার সময় ধূমপান করতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন। ইতিমধ্যেই ওই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করছে ফরেন্সিক দলও। বিষয়টি নিয়ে রবিবার থানায় স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি। পুলিশ রবিবার রাজকুমার, দেবকুমার এবং বিশ্বজিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর থেকে থমথমে নাড়য়াবিলা গ্রাম। রাজকুমারের সেই বিধ্বস্ত বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখেও আতঙ্কের ছাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy