দশ দিন পরে খোঁজ মিলল পাঁচ বছরের রাকেশ ওরফে ইঁদুর ও তিন বছরের বোন বর্ষা ওরফে কুচির!
ঝাড়গ্রাম শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিনগর এলাকার দুই খুদে ভাই-বোনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসপি ভারতী ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানালেন, বিহারের জামুই থেকে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন শিশু দু’টিকে তাদের জেঠু ও জেঠিমার হাতে তুলে দেন ভারতীদেবী। শিশু দু’টির অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, “ওদের ভাল করে দেখাশোনা করবেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেই দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।”
পুলিশ সুপার জানান, ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ পাওয়ার পরে পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশ, সিআইডি, চাইল্ড লাইন, রেল স্টেশন, পার্শ্ববর্তী ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যকে জানানো হয়। শিশু দু’টির ছবি দিয়ে প্রচারপত্র ছড়ানো হয়। হোয়াটস্ অ্যাপ-এ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত শনিবার বিহারের জামুই এলাকায় ইঁদুর ও কুচিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বিহারের জামুই চাইল্ড লাইনের তরফে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করে ভাগলপুরের একটি সংস্থার হেফাজতে রাখা হয়। জামুই চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর কে কে মিশ্র ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলেই ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার এসআই বিজয়িনী বেরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিহারে যায়। শিশু দু’টিকে উদ্ধার করে সোমবার ভোরে ফেরে পুলিশের দলটি।
এসপি জানান, শিশু দু’টি কীভাবে চলে গিয়েছিল, তদন্ত করে দেখা হবে। শিশু দু’টির চলে যাওয়ার কারণ যদি পরিবারের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত হয়, তাহলে পরিবারটিকে সাহায্য করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ভারতীদেবী। পুলিশের অনুমান, শিশু দু’টি কোনও দূর পাল্লার ট্রেনে চেপে বিহারে পৌঁছে গিয়েছিল। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকের পরে ইঁদুর ও কুচিকে তাদের জেঠিমা রুম্পা রানার কোলে তুলে দেন এসপি। নতুন পোষাকে ধোপদুরস্ত শিশু দু’টি অবশ্য আগাগোড়া চুপচাপই ছিল। ইঁদুর ও কুচিকে নারকেল নাড়ুও খাওয়ান এসপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy