আগের বার পালানোর দিনই ধরা পড়েছিল সে। এ বার ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও হদিস মেলেনি কনস্টেবল খুনে অভিযুক্ত কর্ণ বেরার। খোঁজ মেলেনি আর এক দুষ্কৃতী শেখ নাজির হোসেনেরও।
কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকে দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী পালানোর ঘটনায় সাব জেলার (জেল কন্ট্রোলার) সুরজিৎ বিশ্বাসকে শো-কজ করলেন কাঁথি উপ-সংশোধনাগারের জেলার ও কাঁথির উপ মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে দেবদুলাল জানা ও দিলীপ চন্দ্র নামে দুই কারা কর্মীকে। প্রশাসন সূত্রের খবর, তিন দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে ওই তিনজনকে। বুধবার কাঁথি উপ-সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন ডিআইজি (কারা) সুদীপ্ত চক্রবর্তী। কাঁথি থানা ও জেল আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন তিনি।
কাঁথি উপ-সংশোধনাগারে মোট পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে চারটি পুরুষ ও একটি মহিলাদের জন্য বরাদ্দ। পলাতক দুষ্কৃতীরা ২ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই রাতে এই জেলে ছিলেন মোট ১১২ জন বন্দি। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন মহিলা। কারা কর্মী ছিলে মাত্র আটজন। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে পুরুষদের চারটি ওয়ার্ডের পাহারার দায়িত্বে ছিলেন একজন জেল কর্মী। মূল ফটকের দায়িত্বে ছিলেন আরও একজন। উপ-সুপারের সঙ্গে এই দু’জনকেই জেল সুপার শো-কজ করেছেন।
কারাকর্মীদের একাংশের দাবি, এত কম কর্মী নিয়ে এতো বেশি জনের উপর ঠিক মতো নজর রাখা যায় না। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের জানালার রড কাটা হল কী দিয়ে, কোথা থেকে সেই ধারল অস্ত্র তাদের কাছ এল, জেলের ১৮ ফুট পাঁচিলই বা সকলের নজর এড়িয়ে কী ভাবে টপকে গেল দুই দুষ্কৃতী— সে সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কারা কর্তৃপক্ষ বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন সে প্রশ্ন। সকলেই বলছেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’
কাঁথির জেলার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে সাইরেন এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছি।’’ অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “২ নম্বর ওয়ার্ডের বাকি কয়েদিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। খোঁজ চলছে কর্ণ ও নাজিরের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy